Homeখেলাধুলোক্রিকেটটি২০ সিরিজ: যশস্বী, ঈশান, ঋতুরাজ, রিঙ্কুর ব্যাটিং এবং বিশনয় ও প্রসিধের বোলিং-এর...

টি২০ সিরিজ: যশস্বী, ঈশান, ঋতুরাজ, রিঙ্কুর ব্যাটিং এবং বিশনয় ও প্রসিধের বোলিং-এর দৌলতে ভারত ২-০

প্রকাশিত

ভারত: ২৩৫-৪ (ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৫৮, যশস্বী জয়সোয়াল ৫৩, নাথান এলিস ৩-৩৫)

অস্ট্রেলিয়া: ১৯১-৯ (মার্কাস স্টয়নিস ৪৫, ম্যাথু ওয়েড ৪২, রবি বিশনয় ৩-৩২, প্রসিধ কৃষ্ণ ৩-৪১)  

তিরুঅনন্তপুরম: রানের ঝড় তুলেছিল ভারত। শেষ ৭ ওভারে ১১১ রান। ওভারপ্রতি প্রায় ১৬ রান। ভারত ২০ ওভারে করল ৪ উইকেটে ২৩৫ রান। টি২০ ম্যাচে এক ইনিংসে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান। আর এর পিছনে রয়েছে ভারতের প্রথম তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সোয়াল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় আর ঈশান কিষানের অর্ধশত রান এবং রিঙ্কু সিংয়ের মারাকাটারি ব্যাটিং।

এর জবাবে ৯ উইকেটে ১৯১ রান করে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের শুরুতেই দ্রুত ৪টি উইকেট পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। পঞ্চম উইকেটে মার্কাস স্টয়নিস এবং টিম ডেভিড পরিস্থিতি কিছূটা সামাল দিলেও ডেভিড আউট হতেই আবার ধস। মূলত রবি বিশনয় আর প্রসিধ কৃষ্ণ বেশি বাড়তে দেননি অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ পর্যন্ত ভারত জিতে যায় ৪৪ রানে। ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ফলে এগিয়ে গেল ভারত।

ভারতের ইনিংসে শেষ ১৪ বলে ৪৬ রান

রবিবার তিরুঅনন্তপুরমের গ্রিনল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টি২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ভারত। যশস্বী জয়সোয়াল আর ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ইনিংস ওপেন করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মাথায় তুলতে দেননি। রানের ঝড় তোলেন তাঁরা। প্রথম উইকেটের জুটিতে ৫.৫ ওভারে তাঁরা তোলেন ৭৭ রান। দু’জনের মধ্যে বেশি মারমুখী ছিলেন যশস্বী। প্রথম উইকেটের জুটিতে ৭৭ রানের মধ্যে তিনি একাই তোলেন ৫৩ রান। শেষ পর্যন্ত নাথান এলিসের বলে অ্যাডাম জাম্পাকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।

ঋতুরাজের সঙ্গী হন ঈশান কিষান। রান ওঠার গতি একটু কমে। ঈশান আর ঋতুরাজ দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তোলেন ৮৭ রান। এই রান ওঠে ৯.৩ ওভারে। দলের ১৬৪ রানের মাথায় আউট হন ঈশান, শিকার হন মার্কাস স্টয়নিসের। এই আউটেও অবশ্য নাথানের ভূমিকা ছিল। তিনি ঈশানের ক্যাচ ধরেন। ৩২ বলে ৫২ রান করেন ঈশান।

অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জুটি বাঁধেন ঋতুরাজের সঙ্গে। ১০ বলে ১৯ রান করে সেই নাথান ইলিসকে উইকেট দিয়ে বিদায় নেন সূর্যকুমার। স্টয়নিস আর নাথানের ভূমিকা এবার পালটাপালটি হয়ে যায়। নাথানের বলে সূর্যকুমারের ক্যাচ ধরেন স্টয়নিস।

সূর্যকুমার যখন আউট হন দলের রান তখন ১৮৯। ১৭.৪ ওভারে এই রান ওঠে। বাকি ছিল ১৪ বল। ঋতুরাজের সঙ্গী হন গত ম্যাচের জয়ের অন্যতম নায়ক রিঙ্কু সিং। রিঙ্কু মাঠে নেমে রানের ঝড় তুলেছিলেন বললে কম বলা হয়। ভারতের ইনিংসের শেষ ১৪ বলে ওঠে ৪৬ রান। তার মধ্যে একা রিঙ্কু তোলেন ৩১ রান, মাত্র ৯ বলে। এর মধ্যে ৪টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভারবাউন্ডারি ছিল।

ইতিমধ্যে দলের  ২২১ রানে সেই নাথানের বলে টিম ডেভিডকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে চলে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ঋতুরাজ করেন ৪৩ বলে ৫৮ রান। শেষ পর্যন্ত ভারত পৌঁছোয় ২৩৫ রানে। রিঙ্কু ৩১ রানে এবং তিলক বর্মা ৭ রানে (২ বলে) নট আউট থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র সফল বোলার নাথান ইলিস। তিনি ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন।

প্রাথমিক বিপদ কাটিয়েও অস্ট্রেলীয় ইনিংসে ধস

জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৩৬ রান তুলতে গিয়ে শুরতেই বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৫৮ রানে তারা ৪টি উইকেট হারায়। একে একে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ম্যাথু শর্ট (১০ বলে ১৯ রান), জোশ ইংলিস (৪ বলে ২ রান), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৮ বলে ১২ রান) এবং স্টিভ স্মিথ (১৬ বলে ১৯ রান)। ২টি উইকেট তুলে নেন রবি বিশনয় এবং ১টি করে উইকেট পান প্রসিধ কৃষ্ণ এবং অক্ষর পটেল।

পরিস্থিতি সামাল দেন মার্কাস স্টয়নিস এবং টিম ডেভিড। রানের ওঠার গতিও বেশ বাড়ে। দলের ৪ উইকেটে ৫৮ রান উঠেছিল ৭.২ ওভারে। এর পরই ঝড় তোলেন স্টয়নিস এবং ডেভিড। অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৫০ রান আসে মাত্র ২১ বলে। অক্ষর পটেলকে ছয় মেরে টিম ডেভিড নিজেদের জুটিতে ৫০ পূর্ণ করেন।

দ্বাদশ ওভার করতে আসেন অর্শদীপ। প্রথম বলে ১ রান দিয়ে স্টয়নিসকে স্ট্রাইক দেন ডেভিড। স্টয়নিস ওভারের বাকি ৫ বলে তুলে নেন ১৭ রান। ১২ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যায় ১৩১ রানে। কিন্তু টিম ডেভিডের ইনিংস খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলের ১৩৯ রানে ২২ বলে ৩৭ রান করে রবি বিশনয়ের বলে ঋতুরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডেভিড বিদায় নিতেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ধস নামে। মাত্র ১৬ রানের মধ্যে তাদের ৪টে ইনিংস পড়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত দশম উইকেটের জুটিতে ৩৬ রান যোগ হয় প্রধানত ম্যাথু ওয়েডের ব্যাটিং-এর সুবাদে। অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে করে ৯ উইকেটে ১৯১ রান। ম্যাথু ওয়েড ২৩ বলে ৪২ করে এবং তনবীর সংঘ ৪ বলে ২ রান করে নট আউট থাকেন। ভারত জিতে যায় ৪৪ রানে। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রবি বিশনয় এবং প্রসিধ কৃষ্ণ। ‘প্লেয়ার অভ দ্য ম্যাচ’ হন যশস্বী জয়সোয়াল।

আরও পড়ুন

টি২০ সিরিজ: রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভার, শেষ বলে রিঙ্কু জয় এনে দিলেন ভারতের

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

ঋণগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ লক্ষ কোটির ‘বেলআউট’ প্যাকেজ আনছে কেন্দ্র; শর্ত বেসরকারিকরণ

ঋণে জর্জরিত রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির জন্য ১ ট্রিলিয়ন রুপিরও বেশি উদ্ধারপ্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। শর্ত—রাজ্যগুলিকে তাদের বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে হবে বা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে।

কলকাতায় আত্মপ্রকাশ গোদরেজ হাউসিং ফিন্যান্সের, পূর্ব ভারতে ঋণ পরিষেবায় নতুন দিগন্ত

পূর্ব ভারতে আর্থিক পরিষেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কলকাতায় প্রথম শাখা চালু করল গোদরেজ হাউসিং ফিন্যান্স। ৭.৭৫% সুদে হোম লোন, নারীদের জন্য বিশেষ ‘আরোহী হোম লোন’ অফারসহ গ্রাহককেন্দ্রিক পরিষেবা দেবে সংস্থা।

মোন্থা আপডেট:  কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়, দুর্বল হলেও বৃষ্টি ঝড়ে বিপর্যস্ত একাধিক রাজ্য, বাংলায় কতদিন বৃষ্টি?

গত ২৮ অক্টোবর রাতে কাকিনাড়া উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিমি গতিবেগে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। বর্তমানে দুর্বল হলেও দক্ষিণ ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা রইল।

এআইএফএফ সুপার কাপ ২০২৫-২৬: মহেশের জাদু জেতাল ইস্টবেঙ্গলকে, মোহনবাগানকে রুখে দিল ডেম্পো  

ইস্টবেঙ্গল এফসি: ৪ (কেভিন সিবিলে, বিপিন সিং ২, হিরোশি ইবুসুকি) চেন্নাইয়িন এফসি: ও মোহনবাগান সুপার...

আরও পড়ুন

যে কোনো সময় ভারতের জার্সি গায়ে চাপাতে প্রস্তুত: গুজরাতের পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাকে জিতিয়ে ঘোষণা শামির  

কলকাতা: ইডেন গার্ডেন্সে রনজি ট্রফির গ্রুপ–সি ম্যাচে মহাম্মদ শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে গুজরাতকে ১৪১ রানে...

শ্রেয়স আয়ারকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার...

ঘরামি-অনুষ্টুপের লড়াইয়ে রনজি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলা

কলকাতা: সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় টানা অর্ধশতক ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অপরাজিত ধৈর্যশীল ইনিংসের দৌলতে গুজরাতের...