বাংলাদেশ: ২৫৬-৮ (লিটন দাস ৬৬, তানজিদ হাসান ৫১, রবীন্দ্র জাদেজা ২-৩৮, জসপ্রীত বুমরাহ ২-৪১)
ভারত: ২৬১-৩ (বিরাট কোহলি ১০৩ নট আউট, শুভমন গিল ৫৩, রোহিত শর্মা ৪৮, মেহেদি হাসান মিরাজ ২-৪৭)
পুনে: চারে চার। এ বারের বিশ্বকাপে জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে ভারতের। আজকের জয়ের পিছনে অবদান চার ব্যাটারের। বিরাট কোহলি একদিনের ম্যাচে তাঁর ৪৮তম সেঞ্চুরি করলেন। পাশাপাশি কেএল রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দু’জনে নট আউট থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দিলেন। আর গোড়াতেই ইনিংসের ভিত সুদৃঢ় করলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল।
বৃহস্পতিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। লিটন দাস, তানজিদ হাসান আর মাহমাদুল্লাহর ব্যাটিং-এর সুবাদে ৫০ ওভারে তারা করে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান। রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহম্মদ সিরাজ ২টি করে এবং শার্দূল ঠাকুর ও কুলদীপ যাদব ১টি করে উইকেট দখল করেন। জবাবে ভারত করে ৩ উইকেটে ২৬১ রান। ৫১ বল বাকি থাকতেই ভারত ৭ উইকেটে জিতে যায়।
ভিত গড়ে দেন রোহিত ও শুভমন
বাংলাদেশের বোলারদের মোকাবিলা করতে কোনো রকম বেগ পাননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল। প্রথম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৮৮ রান। মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশত রান মিস করলেন রোহিত। ৪০ বলে ৪৮ রান করে হাসান মাহমুদের বলে হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।
শুভমনের সঙ্গী হন বিরাট কোহলি। দু’জনে মিলে ভারতের ভিত আরও শক্ত করতে থাকেন। শুভমন অর্ধশত রানে পৌঁছে যান। কিন্তু ১৩২ রানের মাথায় মেহেদি হাসান মিরাজের বলে মাহমাদুল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শুভমন (৫৫ বলে ৫৩ রান)। কোহলি খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গী করে দলের রান পৌঁছে দেন ১৭৮-এ। শ্রেয়স ২৫ বলে ১৯ রান করে শুভমনের মতোই আউট হন।
বাকি কাজটা সুসম্পন্ন করেন কোহলি আর রাহুল। ৪২ ওভারের তৃতীয় বলে নাসুম আহমেদকে ছক্কা মেরে কোহলি এক দিকে একদিনের ম্যাচে নিজের ৪৮তম শতরান পূর্ণ করেন আর অন্য দিকে দলকে টানা চার ম্যাচ জেতানোর কৃতিত্ব অর্জন করেন। কোহলি নট আউট থাকেন ৯৭ বলে ১০৩ রান করে এবং কেএল রাহুল নট আউট থকেন ৩৪ বলে ৩৪ রান করে।
শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের
এর আগে টসে জিতে ব্যাট নিয়ে বাংলাদেশ শুরুটা খুব ভালো করেছিল। তানজিদ ও লিটন প্রথম উইকেটের জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন। ১৪.৪ ওভারে ওই রান ওঠে। তানজিদ মারমুখী ব্যাটিং করছিলেন। তুলনায় লিটন ছিলেন একটু সাবধানী। তানজিদকে তুলে নেন কুলদীপ যাদব। ৪৩ বলে ৫১ রান করে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ।
৯৩ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট পড়ার পর ৪৪ রানের মধ্যে আরও ৩টি উইকেট পড়ে যায়। দলের ১৩৭ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে শুভমন গিলকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান লিটন। তিনি ৮২ বলে ৬৬ রান করেন। এর পর বাংলাদেশের হাল সামান্য হলেও কিছুটা ফেরে। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন তৌহিদ হৃদয় এবং মুসফিকুর রহিম। তাঁরা যোগ করেন ৪২ রান।
দলের ১৭৯ রানে শার্দূল ঠাকুরের বলে সেই শুভমনকে ক্যাচ দিয়ে তৌহিদ আউট হওয়ার পরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। ৪৬ বলে ৩৮ রান করে বুমরাহের বলে জাদেজাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুসফিকুর। দলের রান দাঁড়ায় ২০১-৬। ইনিংসের তখনও বাকি ৭.৩ ওভার। দলকে একটা সম্মানজনক রানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সতীর্থদের নিয়ে চেষ্টা করেন মাহমাদুল্লাহ। দলের ২৪৮ রানে আউট হন মাহমাদুল্লাহ। ৩৬ বলে ৪৬ রান করে বুমরাহের বলে বোল্ড হন মাহমাদুল্লাহ। এর পরে বাকি ৪ বলে ৮ রান যোগ করে নট আউট থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশ পৌঁছোয় ৮ উইকেটে ২৫৬ রানে।
টেবিলে ভারত দ্বিতীয় স্থানে
এ দিনের জয়ের পর ভারত ৪টি ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেট রান রেটের বিচারে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকল। আর ৪টি ম্যাচ খেলে ১টি জিতে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বাংলাদেশ রইল সপ্তম স্থানে।
আরও পড়ুন
৬ বছর পর এক দিনের ক্রিকেটে ফের বল করলেন বিরাট কোহলি, দেখুন ভিডিয়োয়
বাংলাদেশ যদি ভারতকে হারাতে পারে, তবে…, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে সাহসী প্রতিজ্ঞা পাক অভিনেত্রীর