ইংল্যান্ড: ১৬৫-৯ (জোস বাটলার ৪৫, ব্রাইডন কার্স ৩১, অক্ষর পটেল ২-৩২, বরুণ চক্রবর্তী ২-৩৮)
ভারত: ১৬৬-৮ (তিলক বর্মা ৭২ নট আউট, ওয়াশিংটন সুন্দর ২৬, ব্রাইডন কার্স ৩-২৯)
চেন্নাই: একটা সময়ে ধরেই নেওয়া হয়েছিল প্রথম টি২০ ম্যাচে হারের প্রতিশোধ নিতে চলেছে ইংল্যান্ড। শনিবার তারা বেশ সক্রিয় ছিল। ভারতের ১২৬ রানের মধ্যে ৭ জনকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। তখনও ভারত জয় থেকে ৪০ রান দূরে। হাতে মাত্র ৫.১ ওভার। সবই হল। কিন্তু ভারতের তিন নম্বর ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানো গেল না। ৫৫ বলে ৭২ রান করে নট আউট থাকলেন তিলক বর্মা। নবম উইকেটে রবি বিশ্নোইকে সঙ্গে নিয়ে ২০ রানের জুটি গড়ে চার বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ে পৌঁছে দিলেন তিলক।
ইংল্যান্ডের ১৬৫ লড়াই করার পক্ষে ভালোই রসদ
ভারত-ইংল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। টসে জিতে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব যথারীতি ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ডকে। গত দিনের তুলনায় এ দিন ইংল্যান্ডকে অনেক স্থিতধী দেখিয়েছে। দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং বেন ডাকেট দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের ইনিংসে পতন আটকান যথারীতি দলের অধিনায়ক জোস বাটলার। সল্টকে তুলে নেন অর্শদীপ সিংহ এবং ডাকেটকে তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে পাশে নিয়ে বাটলার করেন ৩০ বলে ৪৫ রান। অক্ষর পটেলের বলে তিলক বর্মাকে ক্যাচ দিয়ে বাটলার যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন দলের রান ৪ উইকেটে ৭৭। হাতে তখন রয়েছে ১০.৩ ওভার। জেমি স্মিথ (১২ বলে ২২ রান) এবং ব্রাইডন কার্সের (১৭ বলে ৩১ রান) বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ১০.৩ ওভারে ইংল্যান্ড আরও যোগ করে ৮৮ রান। দলের স্কোর দাঁড়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান। ইংল্যান্ডের উইকেটগুলি ভারতের ছয় বোলার ভাগাভাগি করে নেন। অক্ষর পটেল ও বরুণ চক্রবর্তী ২টি করে উইকেট পান এবং অর্শদীপ সিংহ, ওয়াশিংটন সুন্দর, হার্দিক পাণ্ড্য এবং অভিষেক শর্মা ১টি করে উইকেট পান। ভাগ্য খারাপ রবি বিশ্নোইয়ের। ৪ ওভার বল করেও ১টা উইকেটও জুটল না। ইংল্যান্ড করল ১৬৫ রান, লড়াই করার পক্ষে ভালোই রসদ।

দলের জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত তিলক বর্মা। ছবি BCCI ‘X’ থেকে নেওয়া।
তিলককে টলাতে পারল না ইংল্যান্ড
জয়ের জন্য ভারতকে করতে হবে ১৬৬ রান। তারা শুরুও করেছিল ভালোই। ১৯ রানের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসনকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় উইকেটের জুটিতে বাদ সাধলেন তিলক বর্মা এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তবে ভারতের দুর্ভাগ্য। দলের ৫৮ রানে সূর্যকুমার ব্রাইটন কার্সের বলে বোল্ড হতেই অল্প রানের মধ্যে ভারত আরও ২ উইকেট হারাল। ফিরে গেলেন ধ্রুব জুরেল (৫ বলে ৪ রান এবং হার্দিক পাণ্ড্য (৬ বলে ৭ রান)।
দলের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৭৮ রান। জয় তখনও ৮৮ রান দূরে, হাতে ১০.৫ ওভার। কিন্তু ৩ নম্বর ব্যাটার তিলক তো ক্রিজে। সঙ্গী পেলেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে। দু’জনে মিলে ৪.৩ ওভারে যোগ করলেন ৩৮ রান। দলের ১১৬ রানের মাথায় সুন্দর (১৯ বলে ২৬ রান) প্যাভিলিয়নে ফিরতেই দলকে জয়ে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব একা নিজের কাঁধে তুলে নেন তিলক। অন্য প্রান্তে অক্ষর পটেল, অর্শদীপ সিংহকে প্রায় দর্শকের ভূমিকায় রেখে রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিলক। দলের ১৪৬ রানে অর্শদীপ প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে তিলককে সাহায্য করতে সক্রিয় হন রবি বিশ্নোই। নবম উইকেটো যে ২০ রান যোগ হয় তার মধ্যে ৯ রান আসে তিলকের ব্যাট থেকে। ৫ বলে ৯ রান করে রবি নট আউট থাকেন। অন্য প্রান্তে ৫৫ বলে ৭২ করে নট আউট থেকে দলকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন তিলক। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এ দিন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন তিলক বর্মা।