শ্রীলঙ্কা: ১৭১ (৪৬.৪ ওভার) কুশল পেরেরা ৫১, থিকশানা ৩৮* বোল্ট ৩/৩৭, রাচিন ২/২১, স্যান্টনার ২/২২
নিউজিল্যান্ড: ১৭২/৫ (২৩.২ ওভার) কনওয়ে ৪৫, ড্যারিল ৪৩, রাচিন ৪২ ম্যাথেউজ ২/২৯, চামিরা ১/২০ থিকশানা ১/৪৩
শুক্রবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে এ বারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৪১তম ম্যাচটি। প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৩.২ ওভারেই ১৭২ রান তুলে নেয়।
নিজেদের নবম তথা লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স শ্রীলঙ্কা দেখা গেল কুশল পেরেরার। শ্রীলঙ্কার হয়ে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন তিনি। ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন কুশল। যা এই বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। আর কেউই সেভাবে ক্রিজে জমাতে পারলেন না। একমাত্র মাহিশ থিকশানা দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে থেকে ৩৮ রান (৯১ বলে) করে কিছুইটা লড়াই করলেন। বাকিদের মধ্যে পাথুম নিশঙ্ক (২), মেন্ডিস (৬), সদিরা সমরবিক্রমা (১), চরিথ আশালঙ্কা (৮), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (১৬), ধনঞ্জয় ডি সিলভা (১৯) বা চামিকা করুণারত্নে (৬) শেষ ম্যাচেও তেমন কিছু করতে পারলেন না।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। লকি ফার্গুসন, মিচেল স্যান্টনার এবং রাচিন রবীন্দ্র ২টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন ৮৬ রানের জুটি গড়েন। কনওয়ে ৪৫ ও রাচিন ৪২ রান করেন। ড্যারিল মিচেল খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। তাঁরা ছাড়াও উইলিয়ামসন (১৪), মার্ক চাপম্যানদের (৭) জন্য। শেষ পর্যন্ত গ্লেন ফিলিপস (১৭) এবং টম লাথাম (২) দলকে বহু কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি উইকেট পান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। একটি করে উইকেট পান চামিরা ও থিকশানা।
পরিসংখ্যান বলছে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন কেন উইলিয়ামসনেরা। বাবর আজমদের কাজ অনেকটাই কঠিন করে দিলেন তাঁরা। কারণ, পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে চলে গেল পাকিস্তান। তাদের হাতে রয়েছে একটি ম্যাচ। শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে তারা। সেখানে ইংল্যান্ডকে বড়ো ব্যবধানে হারাতে হবে। যাতে নিউজিল্য়ান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট সমান করার পাশাপাশি নেট রান রেটও বেশি হয়।
লিগের ন’টি ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডের নেট রানরেট এখন +০.৭৪৩। এক ম্যাচ কম খেলে বাবরদের নেট রানরেট +০.০৩৬। ফলে বাবরদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে উইলিয়ামসনরা। অর্থাৎ, শনিবার ইডেনে যদি পাকিস্তান ‘অসম্ভব’ কিছু না ঘটালে দেশে ফেরার বিমানই ধরতে হবে।
ইংল্যান্ড ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করলে অন্তত ২৮৭ রানের ব্যবধানে জিততে হবে পাকিস্তানকে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে, প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান যদি ৩০০ রান করে, তাহলে ইংল্যান্ডকে ১৩ রানের মধ্যে অল আউট করতে হবে। আবার প্রথমে বল করলে পাকিস্তানকে অন্তত ২৮৪ বল বাকি থাকতে জিততে হবে। অর্থাৎ ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে যদি ৫০ রান করে, তাহলে পাকিস্তানকে সেই রান তুলে ফেলতে হবে ২.৪ ওভারের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ৮ ম্যাচে দ্বিতীয় বার জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড, ১৬০ রানে হার স্বীকার নেদারল্যান্ডসের