মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৭১/৭ (তিলক- ৮৪*, কর্ণ-৪/৩২)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৭২/২ (কোহলি-৮২*, ফ্যাফ-৭৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ১৭১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬.২ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি। রবিবার এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২২ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে ব্যাঙ্গালোর।
জয় দিয়ে আইপিএল শুরু করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দাপট দেখালেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং বিরাট কোহলি। তারকা জুটি যেন নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন, এবারের আইপিএলে এ দল লম্বা রেসের ঘোড়া।
৩০ বারের সাক্ষাৎকারে ১৭ বারই জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যেখানে ১৩ বার জিতেছে ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে যে পরিসংখ্যান ধোপে টেকে না! মুম্বই বোলারদের একেবারে ধুয়ে-মুছে দিল আরসিবির ওপেনিং জুটি। দেশের জার্সিতে ইতিমধ্যেই স্বমহিমায় ফিরতে শুরু করেছেন কোহলি। সেই দাপুটে রূপেরই এদিন সাক্ষী রইল চিন্নাস্বামী। ৪৫তম হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকালেন প্রাক্তন অধিনায়ক।
শুরু থেকেই বিরাট এবং ফ্যাফ ডুপ্লেসি দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তাঁদের দাপটে মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটার স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। ডুপ্লেসি ৪৩ বলে ৭৫ রান করেন। তিনি শুরু করেছিলেন দ্রুত রান তোলা। বিরাট একটু পরে হাত খোলেন। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তিনি। ৪৯ বলে ৮২ রান করেন বিরাট। রোহিত শর্মাদের ১৭১ রানের জবাবে ৮ উইকেট হাতে ম্যাচ জিতল ব্যাঙ্গালোর।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নজর কাড়লেন তিলক বর্মা। ২০ বছরের তরুণ তুর্কি কার্যত একাহাতে দলকে ভরসা যোগ্য রানে পৌঁছে দেন। ৪৬ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন তিনি। দলের ১৭১ রানের মধ্যে ৮৪ রান করে গেলেন একা। ব্যাঙ্গালোর অতিরিক্ত দিল ১১ রান। অর্থাৎ মুম্বইয়ের বাকি ব্যাটাররা মিলে করলেন ৭৬ রান।