দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩১৫-৯ (আইডেন মারক্রাম ৯৩, ডেভিড মিলার ৬৩, অ্যাড্যাম জাম্পা ৩-৭০, সিয়ান অ্যাবট ২-৫৪)
অস্ট্রেলিয়া: ১৯৩ (৩৪.১ ওভার) (মিশেল মার্শ ৭১, মার্নাস লাবুশানে ৪৪, মার্কো ইয়ানসেন ৫-৩৯, কেশব মহারাজ ৪-৩৩)
জোহানেসবার্গ: রবিবারটা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ‘সুপার সানডে’। বিশ্বকাপের আগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করল তারা। ০-২ পিছিয়ে গিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজ দখল করল। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন মার্কো ইয়ানসেন। আর বোলিং-এ পাশে পেলেন কেশব মহারাজকে। এরই ফলশ্রুতিতে একদিনের সিরিজে পঞ্চম তথা চূড়ান্ত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১২২ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
রবিবার জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে ব্যাট হাতে নিয়ে ২৩ বলে ৪৭ রান করেন মার্কো ইয়ানসেন। তার পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বলে ওপেন করেন। মাত্র ৩৯ রান দিয়ে ৫টি উইকেট দখল করেন তিনি। একদিনের ম্যাচে ইয়ানসেন এই প্রথম পাঁচ উইকেট দখল করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। ব্যাটে-বলে এই পারফরম্যান্সের জন্য ইয়ানসেন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন। কেশব মহারাজ নিলেন ৩৩ রানে ৪ উইকেট।
৩১৫-এর জবাবে ১৯৩
ওয়ান্ডারার্স-এ টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। এই সুযোগের ভালো রকম সদ্ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৩ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে আইডেন মারক্রাম ও ডেভিড মিলারের জুটিতে যোগ হয় ১০৯ রান। এর পর মূলত মার্কো ইয়ানসেন ও আন্ডাইল ফেহলুকাওয়োর ব্যাটিংয়ের সূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে যায় ৩১৫ রানে। ফেহলুকাওয়ো নট আউট থাকেন ৩৮ রানে।
জয়ের জন্য ৩১৫ রান তাড়া করতে গিয়ে ৩৪ রানের মধ্যে দুটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইয়ানসেনের শিকার হন ডেভিড ওয়ার্নার এবং জোস ইংলিস। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন মিশেল মার্শ এবং মার্নাস লাবুশানে। কিন্তু দলের ১২৪ রানে ইয়ানসেনের বলে মার্শ আউট হওয়ার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে অস্ট্রেলিয়ার। শেষ পর্যন্ত ৩৪.১ ওভারে সমাপ্তি ঘটে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের। ১২২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারে তারা।
বিশ্বকাপের আগে দুই দল
পাঁচ ম্যাচের এই অভিযান দক্ষিণ আফ্রিকার শুরু হয়েছিল পরাজয় দিয়ে। পর পর দুটি ম্যাচ তারা হারে। ব্লুমফুনমেন্টে আয়োজিত প্রথম ম্যাচে তারা হারে ৩ উইকেটে। তার পর ব্লুমফুনমেন্টেই দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৩ রানে হারে। এর পরেই ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় পটশেফস্ট্রুমে। দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে ১১১ রানে। সেঞ্চুরিয়ানে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ম্যাচে তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ১৬৪ রানে। আর রবিবার জিতল ১২২ রানে। বিশ্বকাপের আগে এই পারফরম্যান্স দক্ষিণ আফ্রিকাকে খুবই উদ্বুদ্ধ করবে সন্দেহ নেই।
এ দিকে ভারত-সফর ও বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার এই পারফরম্যান্স তাদের কিছুটা দুশ্চিন্তায় রাখবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ভারত-সফর। তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ এবং পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলতে তারা ভারতে আসছে। তার পর ৮ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হবে একদিনের ম্যাচের বিশ্বকাপ।