বাংলাদেশ: ১৬৪ (৪২.৪ ওভারে) (নাজমুল হোসেন শান্ত ৮৯, পতিরানা ৪-৩২, থিকশানা ২-১৯
শ্রীলঙ্কা: ১৬৫-৫ (৩৯ ওভারে) (অসালঙ্কা ৬২ নট আউট, সমরভিকরাম ৫৪, শাকিব ২-২৯)
ক্যান্ডি (শ্রীলঙ্কা): এশিয়া কাপের ‘সুপার ফোর’-এ যাওয়ার জন্য এক-পা বাড়িয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপে তাদের অভিযান শুরু করল তারা। ওদিকে ‘সুপার ফোর’-এ যেতে হলে বাংলাদেশকে তাদের পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার পল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশ প্রথম ব্যাট করে ৪২.৪ ওভারে গুটিয়ে যায়। তারা করে ১৬৪ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান শ্রীলঙ্কা তুলে নেয় ৩৯ ওভারে। তারা করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান। ফলে তারা ৫ উইকেটে হারায় বাংলাদেশকে।
শুরুতে কিছুটা বিপদে শ্রীলঙ্কা
জয়ের জন্য ১৬৫ রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথম দিকে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৪৩ রানের মধ্যে তারা ৩টি উইকেট হারায়। ৯.২ ওভারে তারা এই রান তোলে। এর পর দলের হাল ধরেন সদীরা সমরভিকরাম এবং চরিত অসালঙ্কা। সমরভিকরাম-অসালঙ্কা জুটি দলের রান নিয়ে যান ১২১-এ। ৭৭ রানে ৫৪ রান করে আউট হন সমরভিকরাম।
এর পর কার্যত একাই দলকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন অসালঙ্কা। ৩৯ ওভারে দল জয় হাসিল করে। ৯২ বলে ৬২ রান করে অসালঙ্কা নট আউট থাকেন। শাকিব ব্যাটে কিছু করতে না পারলেও বলে দক্ষতা দেখিয়ে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন।
৫০ ওভার টানতে পারল না বাংলাদেশ
এর আগে টস জিতে ব্যাট নিয়ে ৫০ ওভার পর্যন্ত ইনিংস টানতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। শুরতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১০.৪ ওভারে মাত্র ৩৬ রান ওঠে। ততক্ষণে পড়ে গিয়েছে ৩ উইকেট। শাকিব করেন মাত্র ৫ রান। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়।
দলের ৯৫ রানের মাথায় হৃদয় ৪১ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন। এর পর মুশফিকুর রহিম কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলের ১২৭ রানে মুশফিকুর (১৩ রান) বিদায় নেন। ১৪১ রানে দলের ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর শেষ চার উইকেট মাত্র ২ রানের ব্যবধানে। ১৬২ রানে ২টি উইকেট এবং ১৬৪ রানের মাথায় বাকি ২টি উইকেট। নাজমুল হোসেন শান্ত ১২২ বলে ৮৯ রান করেন। ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে ১০ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার মাতিশা পতিরানা ৩২ রানে ৪ উইকেট দখল করে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ হন।