সৌদি আরব: ২ (খলিল মারান) ভারত: ০
হ্যাংঝাউ: বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগের খেলায় যে দল আর্জেন্তিনাকে হারিয়েছিল, সেই সৌদি আরবের কাছে ২-০ গোলে হেরে এ বারের এশিয়ান গেমস থেকে বিদায় নিল ভারত। ভারতের মহিলা ফুটবল দল আগেই বিদায় নিয়েছে। এ বার সুনীল ছেত্রীরাও বিদায় নিলেন।
এশিয়ান গেমসের ফুটবলে ১৩ বছর পরে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামে ভারত। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ১০২তম স্থানে থাকা ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল র্যাঙ্কিং-এ ৫৭তম স্থানে থাকা সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার হ্যাংঝাউয়ের হুয়াংলং স্পোর্টস সেন্টার স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের দুটি গোলে হেরে গেল ভারত। যারা আর্জেন্তিনাকে হারানোর ক্ষমতা ধরে সেই দলের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রীর ভারত কিন্তু খুব খারাপ খেলেনি।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য
প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। এই অর্ধে নিঃসন্দেহে সৌদি আরবের আধিপত্য অনেক বেশি ছিল। ভারত মাঝেমাঝে আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু তা বলার মতো তেমন কিছু নয়। উলটো দিকে সৌদি আরব বেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েছিল গোল করার। ‘নীল বাঘদের’ ভাগ্য ভালো যে তারা গোল খায়নি।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে সৌদি আরব প্রায় গোল করে ফেলেছিল। সৌদির মিডফিল্ডার মুসাব আল জুয়ারের শট একটুর জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। পর মুহূর্তেই বল পেয়ে যান ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। কিন্তু সৌদির ঠিক বাইরে সুনীল যে শট নেন তা সহজেই ধরে ফেলেন সৌদির গোলকিপার আহমেদ আল জুবায়া।
২২ মিনিটে সৌদি প্রায় গোল করে ফেলেছিল। গোল লক্ষ্য করে মুসাব আল জুয়ার যে শট নেন তা গোলরক্ষক ধীরাজকে হারিয়ে পোস্ট লেগে রিবাউন্ড করে ফের চলে যায় মুসাবের পায়ে। এ বার মুসাব যে শট নেন তা ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ৪০ মিনিটে সৌদি গোল করার আরও একটা সুযোগ নষ্ট করে। দলকে বাঁচাতে গিয়ে বক্সের ঠিক বাইরে মুসাবকে ফাউল করে বসেন গুরকিরাত। মুসাব যে ফ্রি-কিক নেন তা দুর্দান্ত ভাবে বাঁচিয়ে দেন ধীরাজ।
দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ৬ মিনিটের মধ্যে অচলাবস্থা কাটায় সৌদি আরব। দক্ষিণ দিক থেকে মোহম্মদ আবু আল শমত ক্রস বাড়ান ভারতের বক্সে থাকা খলিল মারানের দিকে। মারান সেই বল ধরে হেড দিয়ে গোল করেন। ৬ মিনিট পরে আবার গোল। এবং মারানের দ্বিতীয় গোল। ভারতের বক্সে বল পেয়ে মারান গোলকিপার ধীরাজকে তাঁর দিকে টেনে আনেন। ধীরাজের বাঁ দিকে জায়গা ছিল। সেই জায়গা কাজে লাগিয়ে মারান ভারতের জালে বল জড়িয়ে দেন।
এর পরেও সৌদি আরব গোলের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করে। বারবার তারা ভারতের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলেই জেতে তারা।
আরও পড়ুন