১-০ গোলে জিতে ডুরান্ড কাপ ঘরে তুলল মোহনবাগান। ২০০৪ সালে যে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হেরে ডুরান্ড হাতছাড়া হয়েছিল এ বার সেই ইস্টবেঙ্গলকেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল সবুজ-মেরুন। উল্লেখযোগ্য ভাবে লাল-হলুদকে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হল ১০ জনের মোহনবাগান।
খেলার শুরু থেকে দু’দলই চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের মধ্যে পাস খেলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেন দুই প্রধানের ফুটবলাররা। তবে গোলশূন্যই রয়ে যায় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বার বার বাগান বক্সে উঠে আসছেন নন্দকুমারেরা। চাপ বাড়ছে বাগান রক্ষণে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ। বেশ কিছু অনবদ্য সেভ করেন মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল। মোহনবাগানের দাপট কিছুটা হলেও বেশি ছিল।
খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় সিভেরিয়োকে বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় অনিরুদ্ধ থাপাকে। ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ১০ জনে খেলতে হয় মোহনবাগানকে। অন্য দিকে, ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই প্রায় আধঘণ্টা ‘অ্যাডভান্টেজ’।
৭১ মিনিটের মাথায় প্রতি-আক্রমণ থেকে বল ধরে অনেকটা দৌড়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ১-০-তে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কার্যত মোহনবাগানকে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে দেন পেত্রাতোস। ম্যাচের শেষ অবধি সেই ফলাফলের আর কোনো বদল হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, মোহনবাগান দশ জন হয়েও ১-০ জয়। নিঃসন্দেহে বাগানের রক্ষণ এই ম্যাচে যথেষ্ট ভালো খেলেছে। ইস্টবেঙ্গল কিন্তু বাগান ১০ জন হওয়ার সুযোগটা নিতে পারেনি। উল্টে তাদের ডিফেন্সের দুর্বলতার কারণে তারা গোল খেয়ে গেছে। গ্রুপ-লিগের ডার্বিতে যেমন খেলেছিল লাল-হলুদ, তার একাংশ এদিন খেলতে পারেনি।
উল্টো দিকে, রবিবাসরীয় যুবভারতীতে ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরেই গোল পায় মোহনবাগান। পেত্রাতোসের একমাত্র গোলেই জয় ছিনিয়ে নেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দিনের শেষে, ১৯ বছর আগের বদলাটা নিয়েই ফেলল মোহনবাগান। সঙ্গে এই বছর ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে হারের জ্বালাতেও লাগল প্রলেপ।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: ভারতের ইনিংসের পর বৃষ্টির জন্য খেলা বাতিল, পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি