সঞ্জয় হাজরা
কলকাতা: ১০৫ বছর অতিক্রম করে ১০৬ বছরে পা রাখল কলকাতার তিন প্রধানের অন্যতম ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ১৯২০ সালের ১ আগস্ট এই কলকাতা মহানগরীতে জন্ম হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হল একগুচ্ছ খেলোয়াড় এবং বিভিন্ন ভাবে খেলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বদের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের একাধিক প্রাক্তন খেলোয়াড়-সহ আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন ৫০ বছর আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ৫ গোলে হারানো ইস্টবেঙ্গলের সেই বিখ্যাত পাঁচ খেলোয়াড় গৌতম সরকার, শ্যাম থাপা, সমরেশ চৌধুরী, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় এবং তরুণ বসু। ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম।

প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষ্যে সেজেছে ক্লাবতাঁবু।
এ দিনের অনুষ্ঠানে দলের সেরা সমর্থক হিসেবে সম্মানিত হলেন ননীগোপাল বণিক এবং মন্টু সাহা, সেরা রেফারি হিসেবে পঙ্কজ গুপ্ত স্মৃতি সম্মান পেলেন করুণা চক্রবর্তী এবং কার্তিক ইন্দু, সেরা দাবাড়ু হিসেবে সম্মানিত হলেন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার আরণ্যক গুহ এবং সেরা কোচ হিসেবে শ্রদ্ধেয় পি কে ব্যানার্জি সম্মানে সম্মানিত হলেন কোচ সঞ্জয় সেন এবং অ্যান্টনি এন্ড্রুজ।
এ ছাড়াও সঙ্গীতা বাসফোর্ডকে ‘প্রাইড অফ ইস্টবেঙ্গল’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। পুষ্পেন সরকার আলোকচিত্রী সম্মানে সম্মানিত হলেন চিত্রসাংবাদিক উৎপল সরকার এবং অজয় বসু স্মৃতি সম্মানে সম্মানিত করা হয় সাংবাদিক তথা ধারাভাষ্যকার পল্লব বসু মল্লিককে।
বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলারের সম্মানে সম্মানিত হলেন সৌমা গোলোধ এবং জীবনকৃতী সম্মানে সম্মানিত হলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ মিত্র ও মিহির বসু। অর্জুন, পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত ভারতের অন্যতম সেরা হকি গোলকিপার পিআর শ্রীজেশকে ‘ভারত গৌরব’ সম্মানে সম্মানিত করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।

মোহনবাগান ক্লাবে মোলিনা
শুক্রবার মোহনবাগান ক্লাবে প্র্যাকটিসে এসেছিলেন দলের প্রধান কোচ হোসে মোলিনা। মোলিনা দেখে ক্লাব সদস্য ও সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত। তাঁরা তাঁকে অভূতপূর্ব সম্মান জানালেন ক্লাব তাঁবুতে। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫-এ আইএসএল লিগ-শিল্ড এবং কাপ জিতেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
ছবি: প্রতিবেদক
আরও পড়ুন
মোহনবাগান দিবসের বর্ণাঢ্য উদযাপন নেতাজি ইন্ডোরে, ‘মোহনবাগান রত্নে’ ভূষিত টুটু বসু