কলকাতা: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর ইনিংস চার ওভার গড়াতেই কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর (কেকেআর) অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বল তুলে দিলেন দুই স্পিনার সুনীল নারিন আর বরুণ চক্রবর্তীর হাতে। ততক্ষণে মুম্বইয়ের স্কোর হয়ে গিয়েছে বিনা উইকেটে ৪৬। ওভারপ্রতি গড়ে ১১.৫ রান। জয়ের জন্য আর দরকার ১১২ রান। হাতে ১২ ওভার। অর্থাৎ গড়ে সাড়ে ৯-এরও কম। সুতরাং মুম্বইয়ের সমর্থকরা ভাবতে শুরু করেছেন জয়ের থেকে তাঁরা খুব দূরে নন।
কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আর। ঠিক সময়েই সুনীল-বরুণকে ডেকে নিয়েছিলেন শ্রেয়স। তাঁরাই দিলেন ধাক্কা। দলের সপ্তম এবং নিজের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ঈশান কিষানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিলেন সুনীল নারিন। ২২ বলে ৪০ রান করে রিঙ্কু সিংকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ঈশান।
পরের ওভারে আবার ধাক্কা। এবার নায়ক বরুণ চক্রবর্তী। দলের অষ্টম তথা নিজের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বরুণ আউট করলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। এই আউটেও রয়েছে নারিনের অবদান। ক্যাচ ধরলেন নারিন। ২৪ বলে ১৯ রান করে ফিরে গেলেন রোহিত। এর পর মুম্বইয়ের বাকি ছ’টা উইকেট পড়ে গেল ৭২ রানে।
২০ ওভারের বদলে ১৬ ওভার
রবিবার দুপুর কাটতে না কাটতেই কলকাতার আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল মেঘে। একটু পরেই নামল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি সন্ধেতেও গড়িয়ে গেল। কভার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হল ইডেনের পিচ। খেলা হবে কিনা সে-ই নিয়ে তৈরি হচ্ছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের পৌনে দু’ ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হয়। ২০ ওভারের বদলে ১৬ ওভারে।
টসে জিতে কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুরুটা একদমই ভালো হয়নি কেকেআর-এর। দলের ১০ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে চলে যান দুই ওপেনার সুনীল নারিন আর ফিল সল্ট। কিছুক্ষণ পর একই পথ ধরেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। দলের রান তখন ৪০।
এর পর বেঙ্কটেশ আইয়ার (২১ বলে ৪২ রান), নীতীশ রানা (২৩ বলে ৩৩ রান) এবং কিছুটা আন্দ্রে রাসেল (১৪ বলে ২৪ রান) ও রিঙ্কু সিংয়ের (১২ বলে ২০ রান) ব্যাটিং-এর দৌলতে কেকেআর পৌঁছে যায় ১৫৭ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে এই রান তোলে তারা।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর বিরুদ্ধে ১৮ রানে জয়ের সুবাদে আইপিএল-এ লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌছে গেল কেকেআর। ১২ ম্যাচে ৯টি জিতে ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। কেকেআর-ই প্রথম দল যারা আইপিএল-এর প্লে অফ-এ পৌঁছোল। এ দিনের খেলায় ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ বরুণ চক্রবর্তী।