রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৮১/৪ (বিরাট ৫৫, মহীপাল ৫৪*, ডুপ্লেসিস ৪৫, মার্শ ২/২২)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৮৭/৩ (সল্ট ৮৭, রিলি ৩৫*, মার্শ ২৬, হ্য়াজেলউড ১/২৯)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার নিজের শহর থেকে হেরে ফিরতে হল বিরাট কোহলিকে। ব্যাঙ্গালোরের ৪ উইকেটে ১৮১ রানের জবাবে দিল্লি ক্যাপিটালস ১৬.৪ ওভারে তুলল ৩ উইকেটে ১৮৭ রান। এই জয়ের ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতোই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লিও ১০টি ম্যাচ খেলে তুলে নিল ১০ পয়েন্ট।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮২। ৩২ বলে ৫২ রান করে আউট হন ডুপ্লেসি। পরের বলে ম্যাক্সওয়েলকেও (০) তুলে নেন। ৪৬ বলে ৫৫ রান করে মুকেশ কুমারের বলে আউট হন কোহলি। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ২৬ বলে জীবনের প্রথম আইপিএল হাফ সেঞ্চুরি করেন মহীপাল লোমরোর। তিনি করলেন ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রান। দীনেশ কার্তিক করলেন ২৯ বলে ৫৪ রান এবং অনুজ রাওয়াত ৩ বলে ৮ রান করে শেষ পর্যন্ত ২২ গজে রইলেন।
দিল্লির কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। ওয়ার্নারের দলের সফলতম বোলার মার্শ ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৩০ রানে ১ উইকেট বাংলার মুকেশ কুমারের। ৪৫ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেন খলিল আহমেদ।
দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ১৪ বলে ২২ রান করে ফিরে গেলেও উইকেটের অন্য প্রান্তে রোখা গেল না সল্টকে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪৫ বলে ৮৭ রান। তিন নম্বরে নেমে মিচেল মার্শও বড় রান পেলেন না ১৭ বলে ২৬ রান করলেন। রুসো অপরাজিত থাকলেন ২২ বলে ৩৫ রান করে। ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকলেন অক্ষর পটেল।
বেঙ্গালুরুর কোনো বোলারই দিল্লির ২২ গজে নজর কাড়তে পারলে না। জস হ্যাজলউড ১ উইকেট পেলেন ২৯ রান খরচ করে। ৩২ রানে ১ উইকেট হর্ষল পটেলের। ৩৩ রানে ১ উইকেট কর্ণ শর্মার।