দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬২/৮ (ওয়ার্নার ৩৭, অক্ষর ৩৬, সরফরাজ ৩০, রাশিদ ৩/৩১,সামি ৩/৪১)
গুজরাত টাইটান্স: ১৬৩/৪ (সুদর্শন ৬২, মিলার ৩১, আনরিচ ২/৩৯)
আইপিএল ২০২৩-এ নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল গুজরাত টাইটান্স। মঙ্গলবার তারা দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাল ৬ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৬২/৮ তোলে দিল্লি। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতে ১৬৩/৪ তুলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গুজরাত।
টস জিতে এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মহম্মদ সামির ধাক্কায় বেসামাল হয় দিল্লি। গড়ে ওঠেনি বড়ো কোনো পার্টনারশিপ। তবে ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৭, সরফরাজ খান ৩০ ও শেষের দিকে অক্ষর প্যাটেলের ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা বাংলার কিপার-ব্যাটার অভিষেক পোড়েল ২০ রান করেন।
গুজরাত টাইটান্সের হয়ে সবথেকে বেশি ৩টি করে উইকেট নেন মহম্মদ শামি ও রাশিদ খান। এ ছাড়া ২টি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ।
রান তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাত টাইটান্সের। বড়ো রান পাননি শুভমান গিল (১৪), ঋদ্ধিমান সাহ (১৪), অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ারা (৫)। ৫৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে রান রেট ভালো ছিল গুজরাতের। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ম্য়াচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন গুজরাত টাইটান্সের সাই সুদর্শন। ডেভিড মিলার ১৬ বলে ৩১ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৯ রান করে আউট হন বিজয় শংকর। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাত।
দিল্লির হয়ে ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন আনরিখ নোখিয়ে। মিচেল মার্শ ৩.১ ওভার বল করে ২৪ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট দখল করেন এবং ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১টি উইকেট তুলতে সক্ষম হন খলিল আহমেদ।