পঞ্জাব কিংস: ১৪৩/৯ (ধাওয়ান ৯৯*, সাম ২২, মারকান্ডে ৪/১৫, মার্কো ২/১৬)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৪৫/ ২ রাহুল ৭৪, মার্করাম ৩৭, আর্শদীপ ১/২০
২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান করেছিল পঞ্জাব কিংস। ১৭ বল বাকি থাকতে অনায়াসেই লক্ষ্যে পৌঁছল হায়দরাবাদ (১৪৫-২)। এ বারের আইপিএল আসরে কমলা জার্সিধারীদের প্রথম জয় এল ৮ উইকেটে।
টস জিতে রবিবার পঞ্জাব কিংসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। শুরু থেকে কিন্তু ম্যাচে রাশ ছিল হায়দরাবাদের হাতেই। ৮৮ রানেই ৯ উইকেট পড়ে যায় পঞ্জাবের। একশোর গণ্ডি পার হবে কি না, তা নিয়েই দেখা যায় সংশয়। কিন্তু বাদ সাধলেন শিখর ধাওয়ান। তবে শেষরক্ষা অবশ্য তাতে হল না।
কিন্তু সেখান থেকে শিখর ধাওয়ানের অধিনায়কোচিত ইনিংস স্বস্তি এনেছিল শিবিরে। ‘গব্বর’ নিজে অপরাজিত থাকেন ৯৯ রানে। যদিও তাঁর লড়াকু ইনিংস কাজে এল না। ৬৬ বলের ইনিংসে এক ডজন বাউন্ডারি ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান তিনি। দলের ৬৯.২ শতাংশ রানই করেন ধাওয়ান। আইপিএলে এর চেয়ে বেশি অবদানের উদাহরণ রয়েছে ২০০৮ সালের উদ্বোধনী ম্যাচে। কেকেআরের ২২২ রানের মধ্যে ব্রেন্ডন ম্যাকালাম করেছিলেন ১৫৮, যা দলের মোট রানের ৭১.২ শতাংশ।
দুরন্ত বোলিং করে মহেশ মারকান্ডে ১৫ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। মার্কো জানসেন ও উমরান মালিক নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের জন্য ১৪৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রাহুল ত্রিপাঠীই (৪৮ বলে অপরাজিত ৭৪) তফাত গড়ে দিলেন। সঙ্গতে থাকলেন ক্যাপ্টেন আইডেন মার্করাম (অপরাজিত ৩৭)। দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে তাঁরা দু’জনেই। ২০ বলে ২১ রান করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। পঞ্জাবের হয়ে ২টি উইকেট নেন আর্শদীপ সিং এবং রাহুল চাহার। ১৭.১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।