মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮২/৮ (গ্রিন ৪১, যূর্যকুমার ৩৩, তিলক ২৬, নবীন ৪/৩৮, যশ ৩/৩৪)
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১০১ (স্টোইনিস ৪০, কাইল ১৮, দীপক ১৫, আকাশ ৫/৫)
বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের উঠল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মারা করেন ৮ উইকেটে ১৮২ রান। জবাবে লখনউয়ের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১০১ রানে। আগামী শুক্রবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে মুম্বই। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবেন রোহিত-হার্দিকরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ওপেনিং জুটি দলকে ভরসা দিতে পারেননি। ওপেনিং জুটিতে ওঠে মাত্র ৩০। চতুর্থ ওভারে রোহিতকে (১১) তুলে নিয়ে মুম্বইকে প্রথম ধাক্কা দেন নবীন-উল-হক। পরের ওভারেই ঈশানকে (১৫) ফেরান যশ ঠাকুর। দলকে টেনে নিয়ে যান ক্যামেরন গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব। দশম ওভারের চতুর্থ বলে সূর্যকুমারকে (৩৩) তুলে নেন নবীন-উল-হক। শেষ বলে ফেরান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্যামেরন গ্রিনকে (৪১)। টিম ডেভিডও (১৩) দলকে ভরসা দিতে পারেননি। তিলক ভার্মা ২২ বলে ২৬ রান করে আউট হন। শেষ ওভারে ঝড় তুলে মুম্বইকে ১৮২ রানে পৌঁছে দেন নেহাল ওয়াধেরা (২৩)।
জয়ের জন্য ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। দুই ওপেনার প্রেরক মাঁকড় (৩) এবং কাইল মেয়ার্স (১৮) দলকে চাপে ফেলে দেন। তিন নম্বরে নেমে ১১ বলে ৮ রান করে আউট অধিনায়ক ক্রুণাল। চার নম্বরে নেমে মার্কাস স্টোইনিস ব্যাট হাতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রোহিতদের। তিনি করলেন ২৭ বলে ৪০ রান। তাতে অবশ্য লাভ তেমন হয়নি। আয়ুষ বাদোনি (১), নিকোলাস পুরানদের (শূন্য)। লখনউয়ের পরের দিকে ব্যাটাররা কেউই ২২ গজে দাঁড়াতে পারেননি। দীপক হুডা (১৫), কৃষ্ণাপ্পা গৌতম (২), রবি বিষ্ণোই (৩), মহসিন খানরা (শূন্য) মাঠে নামলেন এবং সাজঘরে ফিরে গেলেন।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, মুম্বইয়ের হয়ে আকাশ মাধওয়াল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জীবনের সেরা বোলিং করলেন লখনউয়ের বিরুদ্ধে। ৫ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৫ উইকেট। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নবাগত পেসার। ৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস জর্ডন। ২৮ রানে ১ উইকেট পীযূষ চাওলার। ও দিকে, লখনউয়ের হয়ে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেন নবীন-উল-হক। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন যশ ঠাকুর।
উল্লেখ্য, ৮১ রানে ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের যোগ্যতা অর্জন করল মুম্বই। লখনউকে বিদায় নিতে হল টুর্নামেন্ট থেকে।