শুক্রবার ধরমশালায় আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮৭ তুলেছিল পঞ্জাব সুপার কিংস। জবাবে রাজস্থান রয়্যালস তোলে ১৮৯-৬।
টস জিতে পঞ্জাব কিংসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। লক্ষ্য ছিল টার্গেট দেখে জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটও বাড়িয়ে রাখা। আগে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয় হয় পঞ্জাবের। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল পঞ্জাব। তবে স্যাম কারেনের অপরাজিত ৪৯ এবং জিতেশের ৪৪ রানের জেরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে মোটামুটি একটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছোয় পঞ্জাব। শাহরুখ খান ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
অন্য দিকে, রাজস্থানের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। চারটি বল খেলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন জস বাটলার। তবে দেবদত্ত পাড়িক্কল এবং যশস্বী জয়সওয়াল মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি তৈরি করে ফেলেন। ৫১ করেন পাড়িক্কল। যশস্বীও আবারও একটি অর্ধশতরান পেলেন। ৩৬ বলে ৩০ রান করেন তিনি। রাজস্থানকে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে দেন হেটমায়ার (২৮ বলে ৪৬)। ২ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান।
রাজস্থানের হয়ে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন নবদীপ সাইনি। এ ছাড়াও অ্যাডাম জাম্পা ও ট্রেন্ট বোল্ট ১টি করে উইকেট নেন। পঞ্জাবের হয়ে ক্যাসিগো রাবাডা ৪ ওভারে ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট তোলেন রাহুল চাহার এবং নাথান এলিস।
বলে রাখা ভালো, পয়েন্ট টেবিলের অঙ্ক বলছে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পঞ্জাব কিংস জিতলে সুবিধা হয়ে যেত কলকাতা নাইট রাইডার্সের। নীতীশ রানাদের সেই সুযোগ দিল না রাজস্থান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে টপকে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে উঠে এলেন সঞ্জু স্যামসনরা।
উল্টো দিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লে অফের স্বপ্নে যবনিকা পড়ল। কারণ নাইটদের (-০.২৫৬) নেট রানরেটের তুলনায় রাজস্থানের (+০.১৪৮) নেট রানরেট অনেক ভালো জায়গায়। রাজস্থানের জয়ে চাপে পড়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও।