রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১২৬/৯ (ডু’প্লেসি ৪৪, কোহলি ৩১, নবীন ৩০/৩, অমিত ২১/২, রবি ২১/২)
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১০৮ (কৃষ্ণাপ্পা ২৩, অমিত ১৯, হ্যাজলউড ১৫/২, কর্ণ ২০/২)
ঘরের মাঠে নিতান্ত ছোটখাটো টার্গেট তাড়া করতে নেমে ম্যাচ হারল লখনউ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে ১৮ রানে হারল লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাট করে ব্যাঙ্গালোর তুলেছিল ৯ উইকেটে ১২৬ রান। জবাবে লখনউয়ের ইনিংস শেষ হয় ১০৮ রানে (১৯.৫ ওভারে)।
ওপেন করতে নেমে ৩০ বলে ৩১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় বিরাটকে কোহলিকে। ১১ বলে ৯ রান করেন অনুজ রাওয়াত। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪, সুয়াশ প্রভুদেশই ৬। আরসিবির হয়ে সব থেকে বেশি ৪৪ রান করেন ক্যাপ্টেন ফ্যাফ ডু’প্লেসি। ৪০ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। দীনেশ কার্তিক ১৬ রান করে আউট হন। মহীপাল লোমরোর ৩, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৮, করণ শর্মা ২ ও জোশ হ্যাজেলউড ১ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি মহম্মদ সিরাজ।
১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে প্রথম থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করেন লখনউ। ব্যর্থ দুই ওপেনার কাইল মেয়ার্স (০) এবং আযুষ বাদোনি (৪)। প্রথম ছয় ব্যাটারের কেউই বলার মতো রান পেলেন না। ক্রুণাল (১৪), দীপক হুডা (১), মার্কাস স্টোইনিস (১৩), নিকোলাস পুরানরা (৯)। কৃষ্ণাপ্পা গৌতম লখনউ সমর্থকদের মনে আশা জাগিয়েছিলেন। তবে তিনি ২৩ রান করে রান আউট হয়ে বসেন। ৫ রান করে রান-আউট হন রবি বিষ্ণোই। শেষ বেলায় লখনউয়ের হারের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছে অমিত (১৯) এবং নবীনের (১৩) লড়াই।
চোটের জন্য ওপেন করতে পারেননি লোকেশ রাহুল। একেবারে শেষে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। লখনউ দলনায়ক যখন মাঠে নামেন, দলের তখন জিততে ৮ বলে ২৪ রান দরকার ছিল। যদিও চোট নিয়ে লোকেশের মাঠে নামাও ভাগ্য বদলাতে পারেনি লখনউয়ের। তিন ৩ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থেকে যান।
লখনউয়ের হয়ে ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন নবীন উল হক। বিষ্ণোই ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ২১ রানে ২ উইকেট অমিতেরও। আরসিবির সফলতম বোলার হ্যাজলউড তুলে নেন ১৫ রানে ২ উইকেট। কর্ণ শর্মার ২০ রানে ২ উইকেট। ম্যাক্সওয়েল ছাড়াও ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, হর্ষল পটেল।