একার ব্যাটে রাজস্থান রয়্যালসকে জেতালেন যশস্বী জয়সওয়াল। একই সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্নে বড়ো ধাক্কা দিল রাজস্থান রয়্যালস। ১২টা ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রয়ে গেল কেকেআর। নেট রান রেট -০.৩৫৭। যা প্রায় শেষের দিকে।
টসে জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান সঞ্জু। শুরুটা ভাল হয়নি কেকেআরের। তৃতীয় ওভারেই জেসন রয়কে (৮ বলে ১০) তুলে নেন বোল্ট। সন্দীপ শর্মার দ্বিতীয় ওভারে রহমানুল্লাহ গুরবাজ দুটি ছক্কা হাঁকালেও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই গুরবাজকে (১২ বলে ১৮) তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। একাদশতম ওভারে নীতীশ রানাকে (১৭ বলে ২২) তুলে নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। রাসেলও (১০ বলে ১০) ব্যর্থ। ঝড় তুলতে পারলেন না রিঙ্কু সিংও। ১৮ বলে মাত্র ১৬ রান করে তিনি আউট হন। বেঙ্কটেশ ৫৭ রানের মাথায় চহালের বলে ফিরে যান। ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ তোলে নাইট রাইডার্স।
রাজস্থানের হয়ে ২৫ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। নীতীশকে আউট করার সঙ্গে আইপিএলে সর্বাধিক উইকেটের মালিক হলেন তিনি। ভেঙে ফেললেন ডোয়েন ব্রাভোর নজির। ১৫ রানে ২ উইকেট পান বোল্ট।
১৫০ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারেই কেকেআরের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ১৩ বলে আইপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম অর্ধশতরান করলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। লোকেশ রাহুল ও প্যাট কামিন্সের নজির ভেঙে দিলেন তিনি। বাটলার শূন্য রানে রান আউট হলেও রাজস্থানের ব্যাটিংয়ে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ, যশস্বীর বিধ্বংসী ব্যাটিং। ৪৭ বলে ৯৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঞ্জু অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৪৮ রানে। ৪১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় রাজস্থান।
কেকেআর-কে যদি পরের রাউন্ডে যেতে হয় তাহলে তাদেরকে শুধু পরের দুটো ম্যাচ জিতলেই চলবে না বড় ব্যবধানে জিততে হবে। চেন্নাই ও লখনউয়ের বিরুদ্ধে যেটা কতটা সম্ভব তা বড়ো প্রশ্ন।