খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার পাঞ্জাব কিংস-এর কাছে হেরে গেল রাজস্থান রয়্যালস (আরআর)। তবে তাতে তাদের আইপিএল-এর প্লে-অফে যাওয়া আটকায়নি। ১৩ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা প্রথম চারটি দলের মধ্যে থাকা নিশ্চিত করেছে। আর একই সঙ্গে লিগ টেবিলের শীর্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর (কেকেআর) থাকাও নিশ্চিত করেছে। কেকেআর ১৪ ম্যাচ থেকে ১৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। আর কোনো দল কোনো ভাবেই কেকেআর-কে ছুঁতে পারবে না।
এখন প্রশ্ন হল দুটি। এক, রাজস্থান রয়্যালস কি লিগের দ্বিতীয় স্থান দখল করতে পারবে? দুই, আর কোন দুটি দল প্লে-অফে যাবে? লড়াই চলছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসআরএইচ), চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) মধ্যে। তবে খাতায়কলমে দিল্লি ক্যাপিটলস্ (ডিসি) এবং লখনউ সুপার জায়েন্টস্ও (এলএসজি) লড়াইয়ে আছে। তবে বাস্তবে তা ঘটার সম্ভাবনা খুব কম। যদি তা ঘটে তা হলে বিস্ময়ের শেষ থাকবে না।
আইপিএল-এর ফরম্যাট অনুযায়ী লিগ টেবিলে প্রথম চারটি স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলবে। প্রথম দুটি দল খেলবে ‘কোয়ালিফায়ার ১’ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দলদুটি খেলবে ‘এলিমিনেটর’। ‘কোয়ালিফায়ার ১’-এ যে দল জিতবে সে সরাসরি চলে যাব ফাইনালে এবং ‘এলিমিনেটর’ ম্যাচে যে দল হারবে সে এবারের আইপিএল থেকে বিদায় নেবে। এবার ‘কোয়ালিফায়ার ২’ ম্যাচ হবে ‘কোয়ালিফায়ার ১’-এ হেরে যাওয়া দল ও ‘এলিমিনেটর’ ম্যাচে বিজয়ী দলের মধ্যে। এই ম্যাচে যে দল জিতবে সেই দল চলে যাবে ফাইনালে।
এবার দেখে নেওয়া যাক আর কোন দুটি দল প্রথম চার দলের মধ্যে থাকতে পারে এবং কোন দলের দ্বিতীয় স্থানে থাকার সম্ভাবনা আছে।
রাজস্থান রয়্যালস
(১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.২৭৩, খেলা বাকি কেকেআর-এর সঙ্গে)
আগাগোড়া লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে শেষের দিকে টানা চারটি ম্যাচ হেরে কিছুটা বিপাকে রাজস্থান রয়্যালস। না, প্লে-অফে তারা জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তারা কি লিগ টেবিলে দু’ নম্বর জায়গাটা নিতে পারবে? শেষ খেলায় তারা যদি কেকেআর-কে হারাতে পারে তা হলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৮। কেকেআর হেরে গেলে তাদের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। কিছুটা সুবিধা হবে রাজস্থান রয়্যালস-এর। সিএসকে তাদের পেরোতে পারবে না। কিন্তু এসআরএইচ যদি তাদের বাকি দুটো খেলাতেই জেতে তা হলে নেট রানরেটে রাজস্থান রয়্যালসকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে। আর যদি একটা খেলায় জেতে তা হলে দু’ নম্বরে থাকবে আরআর।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
(১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.৪০৬, খেলা বাকি গুজরাত টাইটানস্ ও পাঞ্জাব কিংস-এর সঙ্গে)
আগের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস হেরে যাওয়ায় লিগ টেবিলে দু’ নম্বর জায়গাটা দখল করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এর কাছে, বিশেষ করে যখন তাদের শেষ দুটো ম্যাচ ঘরের মাঠে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীরা রয়েছে টেবিলের একেবারে নীচে। আরআর যদি তাদের শেষ ম্যাচে ২০০ করে ৫০ রানের ব্যবধানে জেতে তা হলেও তাদের নেট রানরেট ০.৪৩৫ হবে। সে ক্ষেত্রে এসআরএইচ তাদের শেষ দুটো ম্যাচ যদি মোট ২৫ রানের ব্যবধানে জেতে (প্রতিটি গেমে ২০০ করে রান করবে ধরে নিয়ে) ওই রানরেট পেরিয়ে যাবে। প্লে-অফে জায়গা সুনিশ্চিত করতে এসআরএইচ-এর আর মাত্র একটা পয়েন্ট দরকার।
চেন্নাই সুপার কিংস
(১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.৫২৮, খেলা বাকি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে)
শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিরুদ্ধে জিতলেই চেন্নাই সুপার কিংস প্লে-অফে চলে যাবে। ২০০ রান তাড়া করতে গিয়ে সিএসকে যদি ১৮ রানের কম ব্যবধানে হারে নেট রানরেটে তারা আরসিবি-র ওপরে থাকবে এবং প্লে-অফে যাবে। সিএসকে বড়ো ব্যবধানে হারলে তারা চাইবে এসআরএইচ তাদের শেষ দুটো ম্যাচে হারুক। সে ক্ষেত্রে সিএসকে আর আরসিবি, দুটো দলই প্লে-অফে যাবে।
সিএসকে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেও যেতে পারে যদি আরআর তাদের শেষ ম্যাচে হারে এবং এসআরএইচ দুটোর মধ্যে একটা ম্যাচ জেতে। সে ক্ষেত্রে আরসিবি-কে হারাতে পারলে সিএসকে দ্বিতীয় স্থানে যাবে, কারণ এখন তাদের নেট রানরেট কেকেআর-এর পরেই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
(১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.৩৮৭, খেলা বাকি চেন্নাই সুপার কিংস-এর সঙ্গে)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কোনো ভাবে যদি এক পয়েন্ট পেয়ে যায় তা হলে আরসিবি-কে পয়েন্টস টেবিলে সিএসকে-র আগে থাকতে হবে। তার মানে তারা যদি ২০০ রান করে তা হলে অন্তত ১৮ রানে জিততে হবে। আর তারা যদি ২০০ রান তাড়া করে তা হলে ১৮.১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে (এটা নির্ভর করছে জয়ের শটে কত রান ওঠে)। তাদের জেতার ব্যবধান যদি ১৮-এর কম হয়, তা হলে এসআরএইচকে দুটো ম্যাচেই হারতে হবে। আর সিএসকে-র কাছে যদি হেরে যায় অথবা ম্যাচ যদি পরিত্যক্ত হয়, তা হলে আরসিবি-কে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে।