আজকের দিনে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের মতো অনেক কাজে আধার নম্বর প্রয়োজন। আধারের সঙ্গে বায়োমেট্রিক বিবরণ যুক্ত থাকে। এ ছাড়া এতে আধার কার্ডধারীর বাড়ির ঠিকানা, জন্ম তারিখ, বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত থাকে। ব্যক্তিগত কাজেও আধার কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে।
ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই (UIDAI) আধার কার্ডের মাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য নাগরিকদের ১২ সংখ্যার শনাক্তকরণ নম্বর দেয়। যা কোনো ভারতীয়কে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। চারটি উপায়ে আপনি নিজের আধার কার্ড তৈরি করতে পারবেন।
১. আধার লেটার
আধার লেটার জারি করে ইউআইডিএআই। এটি একটি কাগজের উপর ল্যামিনেশন করা চিঠি। যাতে আধার ইস্যু করার তারিখ এবং মুদ্রণের তারিখ-সহ একটি কোড থাকে। নতুন আধার তৈরি করার সময় বা বায়োমেট্রিক্সে কোনো তথ্য আপডেট করলে এই আধার লেটার বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
মনে রাখবেন, আসল আধার কার্ড হারিয়ে গেলে ফের নতুন আধার কার্ড তৈরি করানো যায়। এর জন্য, ইউআইডিএআই-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ৫০ টাকা ফি দিয়ে অনলাইনে অর্ডার দেওয়া যায়।
২. পিভিসি আধার কার্ড
এ ধরনের আধার কার্ড পিভিসি-র উপর প্রিন্ট করা। এটা ব্যবহার করার দিক থেকেও বেশ ভালো। এতে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে এবং একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর, আধার সিকিউরিটি কোড, সেই সঙ্গে ছবি ও অন্যান্য তথ্যও থাকে। স্পিড পোস্টের মাধ্যমে আবেদনকারীর ঠিকানায় আধার পিভিসি কার্ড পাঠানো হয়। এর জন্য,ইউআইডিএআই-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ৫০ টাকা ফি দিয়ে অনলাইনে অর্ডার দেওয়া যায়।
৩. এম আধার
এটি ইউআইডিএআই-এর তৈরি একটি অফিসিয়াল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এই রেকর্ডে ডেমোগ্রাফিক তথ্য, ফটো এবং আধার নম্বর রয়েছে যাতে অফলাইন যাচাইকরণের জন্য একটি কোডও রয়েছে। আপনি এটিকে কোনো চার্জ ছাড়াই ডাউনলোড করতে পারেন। এটি বিমানবন্দর এবং রেলওয়েতে স্বীকৃত। ই-কেওয়াইসি-র জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে৷
৪. ই-আধার
ই-আধার হল আধারের ডিজিটাল রূপ, যা একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত এবং অফলাইন যাচাইকরণের জন্য একটি কোড যুক্ত থাকে। আধারের সঙ্গে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ইউআইডিএআই-এর ওয়েবসাইটের সাহায্যে নিজের ই-আধার পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: আধার নিয়ম সংশোধন কেন্দ্রের, ১০ বছরে ‘অন্তত এক বার’ এই কাজটি করা দরকার