কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) পদ্ধতি ব্যবহার করে আধার (Aadhaar) নম্বরগুলির বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণকে আরও শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত করা হয়েছে। সরকারি বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে, আধারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (UIDAI) এবং ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক।
প্রতারণা জাতীয় কার্যকলাপ রুখতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথেন্টিকেশনকে কাজে লাগানোর জন্য নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে ইউআইডিএআই। এ বার থেকে আঙুলের ছাপ যাচাই করতে দুই আঙুলের রেখা এবং ছবির সমন্বয় ব্যবহার করা হবে এআই এবং এমএল পদ্ধতি চালিত সিকিউরিটি ব্যবস্থার মাধ্যমে। এর মাধ্যমে আধার ভিত্তিক অথেন্টিকেটেড লেনদেন করা আরও সুরক্ষিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “নতুন টু ফ্যাক্টর বা লেয়ার অথেন্টিকেশন পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক, টেলিকম এবং সরকারি ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগবে। এটা থেকে সমস্ত ধরনের নাগরিক উপকৃত হবে কারণ এতে আধার ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী হবে এবং প্রতারণা মূলক উদ্দেশ্যকে আটকাবে।”
প্রসঙ্গত, আধার হল ১২ অঙ্কের এমন এক নম্বর যা একজন ব্যক্তির বায়োমেট্রিক এবং আইরিস ডেটার সঙ্গে লিঙ্ক করে, একটি অনন্য পরিচয় তৈরি করে। এই পরিচয়টি কার্ডধারীর ব্যাঙ্কের বিবরণ, ফোন নম্বর, সরকারি স্কিম এবং অন্যান্য আর্থিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি তথ্য অনুসারে, “২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ, আধার প্রমাণীকরণ লেনদেনের সংখ্যা ৮৮২৯ কোটি অতিক্রম করেছে। সেই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি লেনদেন হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যবহার এবং উপযোগিতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে”।
আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য নয়া উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর