দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া থেকে মুম্বইগামী সিএসএমটি মেল দুর্ঘটনার পেছনে মালগাড়ির লাইনচ্যুতির তত্ত্ব উঠে আসছে। সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের আধিকারিকদের মতে, হাওড়া থেকে মুম্বইগামী ট্রেনটি যখন চলছিল, তার মিনিট কয়েক আগে পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়। এর ফলে তার চারটি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে এবং এর মধ্যে একটি বগি হাওড়া-মুম্বইগামী ট্রেনের লাইনে গিয়ে পড়ে। মঙ্গলবার ভোরে চক্রধরপুর ডিভিশনে বরাবাম্বু ও রাজখারসাওয়ানের মাঝে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় মেল ট্রেনের ১৮টি কামরা বেলাইন হয়ে যায়, যার মধ্যে ১৬টি যাত্রীবাহী কামরা ছিল।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চক্রধরপুরে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। জানা গিয়েছে, মেল ট্রেনের গতি ছিল ১১০ থেকে ১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। চক্রধরপুর ডিভিশনের হাওড়া-মুম্বই লাইনটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কবচ ছিল না, যা থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতে পারতো বলে মনে করছেন অনেকে।
চক্রধরপুরের কাছে হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, মৃত ২, জখম ২০
সূত্রের খবর অনুযায়ী, লাইনচ্যুত মালগাড়ির বগিগুলির মধ্যে একটি যখন মেল ট্রেনের লাইনের উপর পড়ে, তখন ১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ধেয়ে আসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সর্তক করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ট্রেনের চালক লাইনচ্যুত বগিটি দেখতে পেয়ে ব্রেক কষেছিলেন, তবে স্বাভাবিক গতিতে থাকায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার পর মালগাড়ির লাইনচ্যুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন মাস্টারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ মালগাড়ির দুর্ঘটনার খবর যদি আগে পৌঁছানো হত, তাহলে হয়তো মেল ট্রেনের চালক দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারতেন।
বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে স্টেশনগুলিতে খবর পাঠানো হয়েছিল কিনা এবং সিগনালিং ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছিল কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর যাত্রীবাহী ট্রেনের বগিগুলি ছিটকে যায়, যা এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।