ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১০ সালের পর ইস্যু করা প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেটও বাতিল করার। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার শীর্ষ আদালতের কাছে স্থগিতাদেশের আবেদন জানালো রাজ্য।
এই মামলায় রাজ্যের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মামলাটি উঠলে কপিল সিবাল জানান, বহু মানুষ এই শংসাপত্রের ওপর নির্ভর করে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাই হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া জরুরি।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৭ অগস্ট এই মামলার শুনানি হতে পারে। রাজ্যের আরেক আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং শীর্ষ আদালতে অনুরোধ করেন, মামলাটিকে প্রাধান্য দিয়ে শুনানি প্রক্রিয়া শুরুতেই রাখা হোক, কারণ এতে পুরো দিন সময় লাগতে পারে।
ভাড়া করা বাড়িতে শুরু, ১৩৮ বছরের গৌরবময় ইতিহাস, আরজি কর এবার বিতর্কের কেন্দ্রে
এর আগে, ৫ অগস্ট শীর্ষ আদালত রাজ্যের কাছে ওবিসি শংসাপত্র ইস্যু করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে স্পেশাল লিভ পিটিশন জারি করেছিল। রাজ্য সরকার ৭৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কী ধরনের সমীক্ষা করেছিল এবং অনগ্রসর শ্রেণী কমিশনের সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছিল, সে বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয় যে ২০১০ সালের পর ইস্যু করা ওবিসি সার্টিফিকেটগুলি যথাযথ সমীক্ষা ছাড়াই প্রদান করা হয়েছিল। যদিও যারা ইতিমধ্যেই এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তাদের ওপর এই রায়ের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছিল আদালত।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

