এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় জম্মু ও কাশ্মীরের অবিলম্বে বিশেষ মর্যাদা পুনঃস্থাপনের দাবিতে একটি বিতর্কিত প্রস্তাব নিয়ে তুমুল হট্টগোল। বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন সদস্য বিধানসভার ওয়েলে নেমে পড়ার পরে চিৎকার, চেঁচামেচি, হাতাহাতি এবং শেষ পর্যন্ত বিজেপির ওয়াকআউট, সবই হয়েছে ইতিমধ্যে।
বুধবার যখন জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (NC) বিশেষ মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে একটি নতুন রেজোলিউশন উত্থাপন করে তখন এই বিরোধ শুরু হয়েছিল। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে, এটিকে “অবৈধ” বলে আখ্যা দিয়েছে বিজেপি। এটি প্রত্যাহারের দাবিও করেছে। স্পিকার আবদুল রহিম রাথার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে, স্পিকার নয়, পাস করা কোনও প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বিধানসভা।
বিজেপি সদস্যরা তাঁদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। এর আগে বিজেপি সদস্যরা ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সম্মান জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকলে স্পিকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “আমাকে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবেন না যা আমি নিতে চাই না।”
এদিকে, এনসি সদস্যরা জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের জন্য ঐতিহাসিক ত্যাগের বিষয়ে স্লোগান দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
৩৭০ ধারা নিয়ে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বুধবারও দেখা গিয়েছিল, যখন জম্মু-কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব আনেন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছিল। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে বিজেপি বিধায়করা প্রস্তাবের কাগজ ছিঁড়ে তার টুকরোগুলি বিধানসভায় উড়িয়ে দেন। এসময় শেখ খুরশিদও সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে মার্শালরা আটকায়। এনসি সদস্যরা প্রস্তাবটি পাশের দাবিতে স্লোগান তোলেন।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক এবং বিধানসভায় এই সংঘর্ষ জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির গভীর মতপার্থক্যকে সামনে তুলে ধরছে।
আরো পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা নিয়ে তুমুল হট্টগোল-হাতাহাতি, অধিবেশন স্থগিত