জেনারেশন জেড, অর্থাৎ ২৭ বছরের কমবয়সি তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রত্যাশিত স্বাধীনতা ও কর্মজীবনের স্বপ্ন এখন বাস্তব জীবনের চাপে রূপান্তরিত হয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রজন্মের ৩৮% মানুষই নিজেদের ‘মধ্যজীবন সংকট’-এর মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন বলে মনে করছেন। এর পেছনে মূল কারণ আর্থিক অনিশ্চয়তা, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা এবং কর্মজীবনের অনিশ্চয়তা।
মানসিক স্বাস্থ্য সংকট
ভিটালিটির এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, তরুণ পেশাজীবীরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে প্রতি সপ্তাহে গড়ে এক দিনের সমান কাজের সময় নষ্ট করছেন। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, জেনারেশন জেড কর্মীরা প্রবীণ সহকর্মীদের তুলনায় ২২৪% বেশি বিষণ্ণতার শিকার হচ্ছেন।
আর্থিক চাপের মুখে যুবসমাজ
আর্টার একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, জেনারেশন জেডের ৩০% তরুণ আর্থিক সমস্যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যেও এই হার ২৮%, যা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার চ্যালেঞ্জকে স্পষ্ট করছে।
উচ্চ জীবনযাত্রার খরচ, মাইনে বৃদ্ধি না হওয়া, এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা যুব প্রজন্মের জীবনের বড় বড় লক্ষ্য, যেমন বাড়ি কেনা বা পরিবার শুরু করার স্বপ্নকেও অনিশ্চিত করে তুলছে।
সমস্যার বেড়াজাল
জেনারেশন জেডের আরেকটি সমস্যা হল ‘ডুম-স্পেন্ডিং’। সমস্যার থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে তরুণরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনায় অর্থ ব্যয় করছেন, যা তাদের আর্থিক চাপ আরও বাড়িয়ে তুলছে।
সমাধান কোন পথে
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তরুণদের আর্থিক শিক্ষার প্রয়োজন। আর্টার ফিনান্সিয়াল অ্যাডভোকেট সামিতা মালিক বলেন, “এই সংকট সমাধানে অর্থনৈতিক পরামর্শ দেওয়া এবং যুবকদের আর্থিক স্থায়িত্বের জন্য সাহায্য করাই মূল চাবিকাঠি।”
বয়স্ক প্রজন্মের সহায়তায় এবং সুস্পষ্ট আর্থিক পরামর্শের মাধ্যমে জেনারেশন জেডকে জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সহায়তা করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

