ভারতের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া। জ্যাভলিন থ্রো সুপারস্টার এখন হাত পাকাচ্ছেন ব্যবসাতেও। সম্প্রতি একটি ওটিটি স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে নিজের ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, আঞ্চলিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে (স্টেজ ওটিটি অ্যাপ) অর্থ বিনিয়োগ করেছেন নীরজ। এই অ্যাপটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার উপর, হিন্দির পাশাপাশি স্থানীয় ভাষায় বিভিন্ন সামগ্রীও এই অ্যাপে পাচ্ছেন গ্রাহক। তবে নীরজের বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্ব সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময় থেকে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মগুলি। সেগুলিতে বিনিয়োগের বহর বেড়েছে যথেষ্ট। স্টেজ অ্যাপটিও ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল। ৬০ লক্ষ বারের বেশি ইনস্টল করা হয়েছে এই অ্যাপ। এ ছাড়াও, প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ এর গ্রাহক। এই ওটিটি অ্যাপটি স্থানীয় ভাষা এবং উপভাষায় বিষয়বস্তুর জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত।
নীরজের মতে, ‘আমরা যে জায়গা থেকে এসেছি সেখানকার সংস্কৃতি, ভাষা এবং উপভাষা প্রচার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমার পরিচয় এবং এটা নিয়ে আমি গর্বিত। সে কারণেই স্টেজে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একসঙ্গে আমরা বৈচিত্র্য ও ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করব’।
স্টেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিনয় সিঙ্ঘল বলেছেন, ‘আমরা নীরজ চোপড়াকে স্বাগত জানাই। তাঁর যোগদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আরও ভালো ভাবে কাজ করবে। আমরা চেষ্টা করেছি আঞ্চলিক ভাষা ও উপভাষায় বিষয়বস্তু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। মানুষের ভালোবাসা আমাদের আরও ভালো কিছু করতে অনুপ্রাণিত করে’।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) নীরজ। উল্লেখযোগ্য ভাবে, তিনিই প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ যিনি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। ২০১৬ সালে, বাইডগোসজক্সে, পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইএএএফ অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ তাঁর কৃতিত্ব অর্জন। এই পদকের সঙ্গে সঙ্গে তিনি একটি বিশ্ব জুনিয়র রেকর্ডও করেন। অলিম্পিকে ভারতের হয়ে স্বর্ণপদক জয়ী প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ক্রীড়াবিদ। ২০১৮, জাকার্তা এশিয়ান গেমসেও জ্যাভলিনে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন। এশিয়ান গেমস ২০২৩-এও সোনা জেতেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে এমনই অনেক পদক। এ ভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন ভারতের ভারতের ‘সোনার ছেলে’।
আরও পড়ুন: তেলঙ্গনা বিধানসভা ভোট: জোড়া আসনে প্রার্থী কেসিআর, চতুর্মুখী লড়াইয়ের ময়দানে আজহারউদ্দিন