আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থাকে ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণ নিয়ে উদ্বেগ! নাম না করেই শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)-র বিবৃতি।
আমেরিকার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের (Hindenburg) রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই ক্রমাগত সংকটে বেড়েছে আদানি গ্রুপের (Adani crisis)। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়, আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিতে এলআইসি, এসবিআই-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বড়ো বিনিয়োগ রয়েছে। ফলে আদানি গ্রুপের শেয়ারে পতন হতেই ক্ষতির মুখে পড়তে পারে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। এমন প্রেক্ষিতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিল, ভারতের ব্যাঙ্কিং সেক্টর শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যদিও নিজের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আদানি গ্রুপের নাম করেনি আরবিআই।
আদানি গোষ্ঠীর সংকট এবং বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আরবিআই বলেছে, “ব্যাঙ্কিং সেক্টর শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল রয়েছে। পর্যাপ্ত মূলধনের পাশাপাশি সম্পদের গুণমান, লিক্যুইডিটি, প্রভিসন কভারেজ এবং লাভের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়গুলি যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর।”
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরও বলেছে, “একটি নিয়ন্ত্রক এবং তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে, আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে আরবিআই ক্রমাগত ব্যাঙ্কিং সেক্টর এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির উপর নজরদারি চালায়। আরবিআই-এর কাছে বৃহৎ ক্রেডিট (CRILC) ডেটাবেস সিস্টেমের তথ্যভাণ্ডার রয়েছে। একটি কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার রয়েছে, যেখানে ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের রিপোর্ট জমা দেয়। যা ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি পরিমাণ অর্থের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়।”
আরবিআই যে পুরো ঘটনা সম্পর্কে সবসময়ই সজাগ, সে কথাও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টরের স্থিতিশীলতা পর্যবেক্ষণ করে রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক। ব্যাঙ্কগুলিও আরবিআই-এর জারি করা লার্জ এক্সপোজার ফ্রেমওয়ার্ক (LEF) নির্দেশিকা মেনে চলছে।
আরও পড়ুন: বিবিসি তথ্যচিত্র বিতর্ক: মানুষ এখনও ডকুমেন্টারি দেখছে, কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট