আমেরিকার রিসার্চ ফার্ম হিন্ডেনবার্গের (Hindenburg Research) নেতিবাচক রিপোর্টের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর (Adani group)। শেয়ার বাজারে বড়োসড়ো বিপর্যয় ঘটেছে। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, ১০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছে আদানি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এমন কী হল, শেয়ার বাজারে ঝড় তুলে দিল আদানির বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার।
টানা আটটি ট্রেডিং সেশনে পতনের পরে আজ আদানির শেয়ারগুলির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। আদানি গ্রুপের শেয়ারে স্মার্ট রিকভারি দেখা গেছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি দেখেছে। কেনাবেচার শুরুর দিক থেকেই আদানির ১০টি শেয়ারের মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সব শেয়ারই রকেটের গতিতে উপরের দিকে উঠেছিল। বেলা গড়ানোর সঙ্গেই কিছুটা বদলে যায় সামগ্রিক রেখচিত্র।
এ দিন আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। প্রতিবেদন লেখার সময়, ২৪২ টাকা বেড়ে (১৫ শতাংশ) ১৮১১ টাকায় রয়েছে এই সংস্থার শেয়ার। অন্য দিকে, আদানি পোর্টস এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের শেয়ার আজ ৯.৬৩ শতাংশ বেড়েছিল। প্রতিবেদন লেখার সময় ১.২৫ শতাংশ উপরে রয়েছে। আদানি পাওয়ারের শেয়ার ১৮৬ টাকা ছুঁয়ে এসে প্রতিবেদন লেখার সময় ১৭৩ টাকায় নেমে এসেছে।
সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। তার পরে আদানি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির বাজার মূলধনে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বন্ড। বুধবার আদানি এন্টারপ্রাইজেসের ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এফপিও-র অনিয়মগুলি খতিয়ে দেখছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি (SEBI)।
আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার ‘স্টক ম্যানিপুলেশন’ এবং ‘অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির’ অভিযোগ তুলে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে। তা ছাড়া তাদের শেয়ারের ভ্যালুয়েশনও মাত্রাতিরিক্ত। ফলে যে কোনো সময়ে ভেঙে পড়তে পারে তাসের ঘর। মার্কিন সংস্থার ভয়ানক রিপোর্টের পরেই টলে গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার। হিন্ডেনবার্গের চাঞ্চল্য়কর রিপোর্ট সামনে আসার পরই আদানির সংস্থার শেয়ারে ধস নেমেছিল।
আরও পড়ুন: শীতের ইনিংস শেষ! এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল পারদ