নিজস্ব প্রতিনিধি: ভবিষ্যতে বাংলা কেমন হবে? তার এক টুকরো ঝলক মিলবে এ বারের বাবুবাগানের পুজোয়। পরিবেশের ক্ষতি করে নয়, বরং প্রযুক্তির হাত ধরে পরিবেশকে রক্ষা করেই আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সুন্দর মেলবন্ধন ঘটিয়ে কী ভাবে ভবিষ্যতের বাংলা গড়ে তোলা যায় তা-ই-ই দেখাচ্ছে বাবুবাগান।
দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বাবুবাগানের পুজোর এ বার ৬২তম বর্ষ। এ বার তাদের থিমের নাম ‘আগামীর বাংলা’। আগামীর দূষণমুক্ত বাংলার সুন্দর বার্তা অসাধারণ মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে বাবুবাগানে।
সামগ্রিক সৃজনের দায়িত্বে ও পরিকল্পনায় আছেন অধ্যাপিকা ডক্টর সুজাতা গুপ্ত। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ হিসাবে আগামী দিনে বাংলার শহরকে আমরা কেমন ভাবে দেখতে চাই সেটাই তুলে ধরা হচ্ছে এ বারের পুজোয়। এমন নগরায়ন চাই যা হবে দূষণমুক্ত। তাই আমরা বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করছি। সৌরশক্তি ব্যবহার করছি। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহার করে চাষ করা হয়েছে এমন পণ্য তুলে ধরব। চারপাশে থাকবে সবুজের সমারোহ।”
থিমশিল্পী অধ্যাপিকা ডক্টর গুপ্ত জানান, ভবিষ্যতের বাংলার শহর কেমন হবে তা দেখানো হবে মণ্ডপে। দূষণমুক্ত পরিবেশ তুলে ধরতে গাছপালা, পশুপাখি প্রতীকী স্বরূপ রাখা হবে। ফিউচারিস্টিক সিটিতে কলকাতার নানান আইকনিক বা ঐতিহ্যবাহী ইমারত তুলে ধরা হবে। গোটা মণ্ডপই ল্যান্ডস্কেপ হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
ডক্টর সুজাতা গুপ্তের কথায়, “থিমের বার্তার সঙ্গে মিলিয়ে, সবুজায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাবেকি সনাতনী ঠাকুর হবে। মায়ের স্বরূপ ‘শান্তিপ্রিয়’। মা আমাদের রাগী নন। মহিষাসুর মায়ের পায়ের তলায় আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে বসে থাকবে।” প্রতিমা রূপায়ণ করছেন সনাতন পাল। সুরে সুরে সুন্দর আবহ তৈরি করছেন বিশিষ্ট সুরকার কল্যাণ সেন বরাট।
ছবি: রাজীব বসু
আরও পড়ুন
টুসু পরবের আঙ্গিকে প্রান্তজনের কথা বলছে এ বারের তেলেঙ্গাবাগান সর্বজনীনের দুর্গাপুজো
৮২তম বছরে সিংহী পার্ক সর্বজনীন তুলে ধরছে রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী কাঠপুতুলের নাচ