নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর কলকাতার ‘পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি’র পুজো এ বার ৮৪ বছরে পড়ল। এ বার এই পুজোর থিম ‘ঋতুমতী, এসো পূর্ণ করো’।
কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে? জনগণের কাছে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে? এই পুজো যিনি সামগ্রিক ভাবে পরিকল্পনা করেছেন সেই মানুষটি হলেন শিল্পী মানস রায়। মানসবাবুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি প্রাঞ্জল করে গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন।
মানসবাবু জানালেন, একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতিটি নারী ঋতুমতী হন। প্রতি মাসেই একবার করে ঘুরেফিরে আসে ঋতুচক্রের ৪টি দিন। ওই ৪টি দিন নিয়ে আসে নারীত্বের পূর্ণতা। ঋতুমতী কথাটি অত্যন্ত অর্থবহ। এই কথাটির মধ্যেই রয়েছে নারীশরীরে নতুন একটি প্রাণের সঞ্চার হওয়ার খবর, মেলে তার আগমনবার্তা। ঋতুচক্রের মধ্য দিয়েই নারী মাতৃত্বের স্বাদ পান। নবজীবনের বার্তা বয়ে আনা ঋতুচক্র স্ফূর্তি আনে নারীর মনে।
মানসবাবু বলছিলেন, অথচ এই ঋতুচক্র নিয়েই আমাদের মধ্যে নানান রকম সামাজিক কুসংস্কার কাজ করে। মাসের এই কটা দিন নারী যেন মুখ লুকিয়ে থাকে। কোনো রকম ধর্মীয় কাজ, সামাজিক কাজ বা পারিবারিক কাজে তাকে যোগ দিতে দেওয়া হয় না। এই কুসংস্কার ভাঙতে হবে।
মানসবাবুর কথায়, “নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে যে মানুষের মনে যে সংস্কার কাজ করে তা কাটানোর সামাজিক বার্তা দিচ্ছি আমাদের পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লীর পুজোয়।”
পুজোর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মণ্ডপ গড়া হচ্ছে। আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা গড়ছেন সনাতন পাল। আবহ তৈরি করছেন ক্যাকটাস ব্যান্ডের গায়ক সিধু। ভাষ্যে রয়েছেন দেবদূত ঘোষঠাকুর। আলোর দায়িত্বে রয়েছেন দেবাশিস দাশ ও প্রচ্ছদের দায়িত্বে রয়েছেন দীপকুমার দেব।
আরও পড়ুন
৮৭তম বছরে দক্ষিণ কলকাতার ‘শিবমন্দির’-এর পুজোর থিম ‘আগল’
৭০ বছরে সুরুচি সংঘের পুজো, এ বারের থিম ‘মা তোর একই অঙ্গে এত রূপ’