অজন্তা চৌধুরী
প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সম্প্রতি আইনক্স সাউথ সিটিতে হয়ে গেল ‘পরমা: এ জার্নি উইথ অপর্ণা সেন’ ছবির বিশেষ প্রদর্শন। পরিচালনায় সুমন ঘোষ। সমস্ত ছবিটাই আবর্তিত চলচ্চিত্রনির্মাতা ও অভিনেত্রী অপর্ণা সেনকে কেন্দ্র করে। এই তথ্যচিত্র শিল্পীর শিকড়ের সন্ধান করে। একজন চলচ্চিত্রনির্মাতা, অভিনেত্রী, সাময়িকপত্র সম্পাদক এবং কর্মী হিসাবে তাঁর কাজকে অন্বেষণ করে।
ছবির বিশেষ প্রদর্শনে এসে অপর্ণা সেন বললেন, “প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ এই আয়োজনের জন্য। আমি কখনও ভাবতে পারিনি যে একজন পরিচালকের ছবির বিষয় হতে পারি আমি। সুমনের এই ভাবনাটাই আমাকে অবাক করেছিল। এই ছবির জন্য আমার সমস্ত ছবির লোকেশনে বহু বছর পর পুনরায় ভিজিট করেছি। আজ ছবি দেখে এত মানুষের প্রতিক্রিয়া পেয়ে খুব ভালো লাগছে।”
পরিচালক সুমন ঘোষের কথায়, “সন্দীপ ভুতোরিয়া আমার অনেক দিনের বন্ধু। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সব সময় আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, সারা ভারত জুড়ে শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশনের অবদান অকল্পনীয়। তারা আজকে আমার ডকুমেন্টরি ফিল্ম ‘পরমা’র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা করলেন, বিশিষ্ট মানুষেরা ছবিটা দেখতে এলেন, তাঁদের মতামত জানালেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
এই ছবির ভাবনা সম্পর্কে সুমন ঘোষ জানালেন, “অপর্ণা সেন আমার বসু পরিবার ছবির অভিনেতা ছিলেন। তার পরবর্তী কালে অনেক আড্ডা হয়েছে ওঁর সাথে। আমি অনুভব করি মানুষটার ব্যাপ্তিটা। তিনি শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী বা পরিচালক নন, একজন সাংবাদিকও। তাঁর রাজনৈতিক সত্তা, ব্যক্তি মানুষ সবটা নিয়ে মানুষটা। এ রকম মানুষ মনে হয় আসতে আসতে হারিয়ে যাচ্ছে। এই ভাবনা থেকেই মনে হয়েছিল, এই সবটা নিয়ে মানুষটাকে তুলে ধরা দরকার। আমি প্রথম তথ্যচিত্র বানিয়েছিলাম অমর্ত্য সেনকে নিয়ে। এ রকম বাঙালি যাঁরা বিশ্ববরেণ্য তাঁদের এক্সপ্লোর করতে আমার খুব ভালো লাগে। মনে হয়, কেন তাঁরা বিশ্ববরেণ্য? আমার মনে হয়, আমাদের প্রজন্মে কোন জিনিসটার অভাব আছে যার জন্য আরেকটা পরমা হতে পারেনি? সেটা থেকে শুরু হয় আমার ছবির এই জার্নিটা।”
এ দিন ‘পরমা’র বিশেষ প্রদর্শনে উপস্থিত ছিলেন চূর্ণী গাঙ্গুলী, কৌশিক গাঙ্গুলী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রজতাভ দত্ত, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, তনুশ্রী শংকর, সুবোধ সরকার-সহ শিল্পসংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট মানুষেরা।