নয়াদিল্লি: সোমবার পণবন্দি দুই ইজরায়েলি বৃদ্ধাকে মুক্তি দিয়েছে প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরে এই দু’জনকে ইজরায়েলে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে দাবি হামাসের।
হামাসের দাবি, গাজায় ইজরায়েলের হামলায় পাঁচ হাজারেও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। উল্টো দিকে, ইজরায়েল থেকে বহু মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে হামাসের বিরুদ্ধে। তাঁদের উপর নানা অত্যাচারের খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে দুই বৃদ্ধার নি:শর্ত মুক্তি।
হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতার পর এই দুই বৃদ্ধাকে “আবশ্যক মানবিক” কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দুই বৃদ্ধার নাম নুরিৎ কুপার (৭৯) এবং ইয়োচেভ্ড লিফশিট্জ (৮৫)। তাঁরা গাজার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের এবং তাঁদের স্বামীদের হামাস বন্দি করেছিল। দুই বৃদ্ধাকে মুক্তি দেওয়া হলেও মুক্তি পাননি তাঁদের স্বামীরা।
ইজরায়েল সরকারের তরফে জানানো হয়, মোট ২২২ জনকে পণবন্দি করে রেখেছে হামাস। তবে দুই বৃদ্ধার মুক্তির ব্যাপারে ইজরায়েলের তরফে এখনও কিছু জানানো না হলেও, সূত্রের খবর, গাজা-মিশরের মাঝে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত দিয়েই হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ওই দুই বৃদ্ধা ইজরায়েলে ফিরবেন।
এর আগে, গত শুক্রবার পণবন্দি দুই আমেরিকান মহিলাকে মুক্তি দেওয়া হয়। হামাসের হাতে বন্দি থাকা ওই দুই মার্কিনি মহিলার নাম নাটালি রানান ও জুডিথ। তাঁরা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। এর মধ্যে নাটালির বয়স মাত্র ১৭ বছর। শুক্রবার তাঁদের মুক্তি নিয়ে বিবৃতি দেয় ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর।
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হামাস আরও ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিতে পারে। তারা দাবি করেছে, এ ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে রেড ক্রসের প্রতিনিধিরা গাজায় যাচ্ছেন। এরই মধ্যে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা হামাসকে ধ্বংস করার জন্য “কঠোর হামলার” প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইজরায়েল জানিয়েছে, দেশের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে ১,৪০০ ইজরায়েলির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে হামাস।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৫ বছরের শিশু-সহ মৃত ৩, মর্মান্তিক ঘটনা বিহারের গোপালগঞ্জে