ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নাম সুপারিশ করেছেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী ১০ নভেম্বর তিনি ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে খন্না দায়িত্ব নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কবে, মাত্র ছয় মাসের জন্য এই পদে বহাল থাকবেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অংশ নিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইলেকটোরাল বন্ড স্কিম এবং জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মামলা।
বিচারপতি খন্নার পারিবারিক পটভূমিও অসাধারণ। তাঁর পিতা, বিচারপতি দেবরাজ খন্না, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন এবং তাঁর কাকা, বিচারপতি হংসরাজ খন্না, ১৯৭৫ সালের এমার্জেন্সির সময় বিখ্যাত এডিএম জবলপুর মামলায় ঐতিহাসিক ভিন্নমত প্রদান করেছিলেন।
১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন সঞ্জীব খন্না। সংবিধান আইন, কর আইন, সালিসি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তিনি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, কতিপয় বিচারপতিদের একজন, যিনি কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি না হয়ে সর্বোচ্চ বিচারালয়ের বিচারপতি হয়েছেন। এবার প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন।
পরে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল এবং অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত হন।
১৭ জুন, ২০২৩ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমির গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য। অনেকের মতে, বিচারপতি খন্না তাঁর পরিবারের ন্যায়বিচারের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন এবং নিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন।


                                    