দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আবারও ধাক্কা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টি নেতা মনীষ সিসোদিয়ার। তাঁর বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ আবারও এক বার বাড়িয়ে দিল আদালত।
জানা গিয়েছে, দিল্লির আবগারি নীতি সম্পর্কিত অর্থ পাচারের মামলায় সিসোদিয়ার বিচার বিভাগীয় হেফাজত ১৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআই মামলায় মেয়াদ বৃদ্ধি ছাড়াও দিল্লি আবগারি নীতি সম্পর্কিত অর্থ পাচার সংক্রান্ত ইডি মামলাতেও ৮ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন সিসোদিয়া।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত। এর পরে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলায় তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলে রয়েছেন। ওই বছরেরই ৩১ মার্চ প্রথম বার তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। এর পরে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল, ইডি মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি দিল্লির উপরাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে সিবিআই দ্বারা দায়ের করা একটি এফআইআর-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। যাতে দিল্লির আবগারি নীতি ২০২১-২২-এ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরবর্তীতে রাজ্য সরকার ওই নীতি প্রত্যাহার করে নিলেও মামলা বিচারাধীন রয়েছে। উল্লেখ যোগ্য ভাবে, দিল্লি হাইকোর্ট ট্রায়াল কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে এবং সুপ্রিম কোর্টও তাই করেছে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই মামলার পরে, ইডি অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয় যে, আবগারি নীতির মাধ্যমে অর্জিত বেআইনি অর্থ “হাওয়ালা” চ্যানেলের মাধ্যমে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপ-এর প্রচারে ব্যয় করা হয়েছিল।
সিবিআই এবং ইডি এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আপ-এর রাজ্যসভা সাংসদ নেতা সঞ্জয় সিং, আপ নেতা বিজয় নায়ার এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-এর কে কবিতা-সহ একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করে। কেজরিওয়াল এবং কবিতা এখনও জেলে রয়েছেন এবং তাঁদের জামিনের আবেদন বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। অন্য দিকে, সঞ্জয় সিং গত ৩ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় ৯৪ আসনে ভোট, রাজ্যের মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গীপুর ও মুর্শিদাবাদে