উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: বর্তমানে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত বহু শিশু থেকে বড়োরাও। বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি। চলছে চিকিৎসা। সরকারি তরফে বেশ কিছু বিধিও জারি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক কিছু উপসর্গ দেখা দিলেও এই ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেন শিশু ও সাধারণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনির্বাণ ঘোষ।
জয়নগরের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগী দেখতে দেখতে ডা. অনির্বাণ ঘোষ তুলে ধরেন এই ভাইরাসের খুঁটিনাটি। তিনি বলেন, “মূলত আমরা একটা করে ভাইরাস দেখতে পাচ্ছি আর সেই ভাইরাসগুলি বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে। অযথা আতঙ্ক চারদিকে ছড়িয়ে গেছে আরও বেশি মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শুধুমাত্র আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য প্রতি বছরই হয়। করোনার কারণে আমাদের মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে”।
তাঁর কথায়, “এখনকী করবেন জেনে রাখুন, কিছু কিছু জিনিস আপনারা লক্ষ্য রাখবেন। শুধু যদি জ্বর থাকে তা হলে প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি যদি দেখেন খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, লেভেলের বাইরে চলে যাচ্ছে, জ্বরটা অনেকদিন ধরে রয়ে থেকে যাচ্ছে, তখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষাও করা উচিত”।
আচমকা অ্যাডিনোর দাপাদাপি প্রসঙ্গে ডা. ঘোষ বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশিতে এই জ্বরটি বেশি হচ্ছে। তবে এই সময় কী কী করবেন না সেটাও জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে সকালের দিকে আপনার বাচ্চাকে অযথা বিশেষ দরকার ছাড়া বাইরে বার করবেন না। পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে সমস্ত বাচ্চাদের অল্প অল্প এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে স্কুলে পাঠানোর দরকার নেই। তাতে আপনার বাচ্চা থেকে আরও দশটা বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে। এগুলো ঠিকঠাক মেনে চলা উচিত। অযথা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এবং সেরেও যাচ্ছে। তাই বলব, সাবধানে থাকবেন, বাচ্চাকে ঠিকঠাক ভাবে রাখুন। পরিচর্যা করুন এবং ঠান্ডা যাতে না লাগে, সেটা লক্ষ্য রাখুন। বাচ্চার গায়ে কোন ক্রিম না লাগানো ভালো, যাতে বাচ্চা ঘেমে না যায় সেদিকে কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই সুস্থ রাখার দায়িত্ব নিজেদের কাছেই থাকল। খুব বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন”।
আরও পড়ুন: দোলের বাজারে মুরগির মাংস ২৫০ টাকা কেজি, চড়ছে পাঁঠার দামও