বীরভূম: ভরা রাস্তায় কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় এক ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ। শুধু তাই নয়, তরুণীকে বাঁচাতে গেলে এক দোকানদারকেও কোপায় আক্রমণকারী যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলের এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে।
ঘটনায় প্রকাশ, এ দিন কলেজ থেকে ফেরার সময় বাস ধরার জন্য সাঁইথিয়ার তালতলা মোড়ের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন ওই ছাত্রী। ওই সময়েই আচমকা এক যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। পাশের এক দোকানদার তা দেখে ওই ছাত্রীকে বাঁচাতে গেলে তিনিও রেহাই পাননি। তাঁকেও কোপায় ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম নাজিবুল হক। তাঁর বাড়ি ওই ছাত্রীর পাশের গ্রাম ছোটতুড়িতে। তবে ঠিক কী কারণে ওই যুবক ছাত্রীর উপরে এমন নৃশংস হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে৷ আক্রমণকারী যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জখম অবস্থায় কলেজ ছাত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। যে যুবকেরও বিরুদ্ধে তরুণীকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে, সেই যুবককে প্রথমে স্থানীয়েরাই ধরেন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, যুবক প্রেমের প্রস্তাব দিলে তরুণী তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেন। তখনই অভিযুক্ত যুবক নাজিবুল হক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে। তবে কী কারণে এই হামলা, এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, “আমার মনে পড়ছে না!”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। রাস্তায় সুতপা চৌধুরীকে কুপিয়ে খুন করেছিলেন সুশান্ত চৌধুরী। সেই ঘটনায় সম্প্রতি সুশান্তকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে নিম্ন আদালত। আবার সেই নৃশংস ঘটনার স্মৃতি উসকে দিল বীরভূমের ঘটনা।
আরও পড়ুন: কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা, জ্যোতিপ্রিয়র পাশে মমতা