জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহারের পর এ দিন জলপাইগুড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ির চেকেন্দা ভান্ডারী মাঠ থেকে জলপাইগুড়ির চা-বাগানের সমস্যা-সমূহের সমাধান নিয়ে জোরালো বার্তা দিলেন মমতা।
আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা মিলিয়ে মোট ২৮২টি চা বাগান রয়েছে। সেখানে কাজ করেন প্রায় তিন লক্ষ শ্রমিক। তাঁদের উদ্দেশে এ দিনের সভায় মমতা বলেন, “চা-বাগানের সমস্যা-সমূহের সমাধানে সদা তৎপর আমাদের সরকার। আগামীদিনে সকল চা-বাগানের শ্রমিকদের পাকা ঘর দেওয়া হবে, দেওয়া হবে পাট্টা। আমরা বিজেপির মতো ভাঁওতাবাজি, মিথ্যাচারে বিশ্বাসী নই। তারা যেমন বাংলার চা-বাগানের জন্য বরাদ্দ ১,০০০ কোটি টাকা দেয়নি, ঠিক তেমনি জনগণের হকের ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে। বন্ধ করে দিয়েছে গ্রাম সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহের বরাদ্দ তহবিল”।
চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়েও যে রাজ্য সরকার বিগত দিনগুলিতে উদ্যোগ নিয়েছে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বললেন, “আগে চা শ্রমিকদের ৬৭ টাকা মজুরি ছিল। সেটা বাড়িয়ে ২২৫ টাকা করা হয়েছে”।
রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি-কে নিশানায় রেখে তাঁর মন্তব্য, “২০২১ সালে রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের কাছে পরাজিত হয়ে তারা আমার রাজ্যবাসীর উপর প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মত্ত হয়েছে। আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের আশীর্বাদ, সমর্থনকে সঙ্গী করে রাজধানীর বুক থেকে আপনাদের ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনবোই”।
পাশাপাশি, জলপাইগুড়ির সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, “গাজোলডোবায় তৈরি হয়েছে বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়াও, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্যসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তের প্রত্যেকটি মানুষের দুয়ারে”।
আরও পড়ুন: ফের আবহাওয়ার ভোলবদলের সম্ভাবনা, ফিরতে পারে অস্বস্তি