জঙ্গিপুর: মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস ও কারখানা থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে আয়কর দফতর। কেন নগদ অর্থ মজুত ছিল, তার ব্যাখ্যা চেয়ে তৃণমূল বিধায়ককে তলব করল আয়কর দফতর। অন্য দিকে, বিধায়ক স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন, নগদ টাকা মজুদের ব্যাখ্যা দিতে পারবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার আয়কর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে জাকির হোসেনকে। এ ব্যাপারে তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘আমি বৃহস্পতিবারই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের বলেছিলাম, নগদ টাকা মজুদের ব্যাখ্যা দিতে পারব। আজ আমাকে বলা হয়েছে, ওই টাকা সংক্রান্ত সমস্ত নথি আয়করের অফিসে জমা দিতে।’’
বুধবার জাকিরের বাড়ি, বিভিন্ন কারখানা ও কার্যালয়ে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে সাংবাদিক বৈঠক করে এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক।
জাকির বলেন, “খাতায়-কলমে আমাদের সবকিছুই ঠিক রয়েছে। আমার ৬০ হাজার শ্রমিক এবং কলেজের স্টাফ রয়েছেন। যে টাকা নিয়ে গিয়েছে, তাতে কলেজের টাকা ছিল, আমার স্ত্রীর টাকাও ছিল। আমরা আইনি লড়াই লড়ব। আমরা চাই সুস্থ সমাধান হোক। আমরা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাদার। আমরা মুর্শিদাবাদের এক নম্বর করদাতা।”
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমায় বিড়ি শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম হলেন জাকির হোসেন। অল্প বয়সেই ব্যবসায়িক শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়ে রাজ্যের অন্যতম শিল্পপতিদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। আয়কর দফতরের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে তাঁর অভিযোগ, “কর দিয়েও অপদস্ত হতে হচ্ছে। ১১ কোটি অনেকে দেখাচ্ছে। তা ঠিক নয়। ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়ে গিয়েছে। যে টাকা নিয়ে গেছে তা আইনি টাকা। আমরা তা ফেরত পাব”।
তবে আয়কর দফতরের তলবে নিজে যাবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি বিধায়ক। বলেন, ‘‘আমি সমস্তটা আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দেব।’’
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।