Homeখবররাজ্যবিএলও বা বিএলএ-দের হাতে এসআইআর-এর নথি নয়! বিভ্রান্তি কাটাতে জানিয়ে দিল কমিশন

বিএলও বা বিএলএ-দের হাতে এসআইআর-এর নথি নয়! বিভ্রান্তি কাটাতে জানিয়ে দিল কমিশন

প্রকাশিত

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্তি কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) এবং বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ)-দের হাতে কোনও ধরনের নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, বিএলও-রা শুধু বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেবেন ও পরে সেই ফর্ম সংগ্রহ করবেন। ভোটারদের কেবল সেই ফর্ম পূরণ করতে হবে। তবে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যদি নাম না থাকে, তখনই নথি লাগবে।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে সম্পর্ক না-থাকলে প্রমাণ হিসেবে ১৩টি নথির যেকোনও একটি জমা দেওয়া যাবে। শুনানির সময় সেই নথি যাচাইয়ের পর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে নতুন ভোটার তালিকায়।

বিএলও-দের অভিযোগ ছিল, নিজেদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি এসআইআরের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাঁরা দাবি করেছিলেন, এসআইআরের সময় তাঁদের “অন ডিউটি” দেখানো হোক।

তবে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, “বিএলও-রা কমিশনের কর্মী নন, তাঁদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান অন-ডিউটি দেখাবে কি না, সেটি তাদেরই সিদ্ধান্ত।”

একই সঙ্গে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিইও (ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার), ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) ও বিএলও-দের পূর্ণ সময়ের জন্য এসআইআরের কাজ করতে হবে।

রাজ্যে ম্যাপিংয়ের অগ্রগতি

রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে ৩২.০৬ শতাংশ ভোটারের তথ্য মিলেছে ২০০২ সালের এসআইআর তালিকার সঙ্গে। অর্থাৎ ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭১ হাজার ১১৪ জন ভোটারের তথ্য ইতিমধ্যেই মেলানো সম্ভব হয়েছে।

এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় “ম্যাপিং” — যেখানে এ বছরের ভোটার তালিকা ও ২০০২ সালের এসআইআর তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়। ভোটারের নিজের নাম বা তাঁর মা-বাবার নাম যদি দুই তালিকায় অভিন্ন পাওয়া যায়, তবে অতিরিক্ত নথি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা সাড়ে সাত কোটিরও বেশি। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ম্যাপিং দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ হবে।

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বিশ্বকাপজয়ী রিচা ও দীপ্তিকে সংবর্ধনা দেবে ইস্টবেঙ্গল! বাংলার গর্বকে অভিনন্দন ক্লাবের

মহিলাদের বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই সদস্য রিচা ঘোষ ও দীপ্তি শর্মাকে সংবর্ধনা দেবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বাংলার মহিলাদের ক্রিকেটে তাঁদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত।

‘দিদি আছে, ভয় পাবেন না, দরকারে থালাবাটি বেচে…!’ এসআইআর ইস্যুতে বার্তা মমতার, অভিষেকের দিল্লি অভিযানের ঘোষণা

কলকাতায় সংবিধানের কপি হাতে তৃণমূলের মিছিল। এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে মমতার বার্তা—“দিদি আছে, ভয় পাবেন না।” অভিষেক জানালেন, দু’মাসের মধ্যে হবে দিল্লি অভিযান।

বেঙ্গালুরু থানায় নির্যাতন! চুরির অভিযোগে বাংলার পরিযায়ী গৃহকর্মী দম্পতিকে ৩ ঘণ্টা ধরে মারধরের অভিযোগ

বেঙ্গালুরুর ভারথুর থানায় পশ্চিমবঙ্গের গৃহকর্মী ও তাঁর স্বামীকে নৃশংসভাবে মারধরের অভিযোগ। তিন ঘণ্টা ধরে চলে নির্যাতন, অভিযোগ দায়ের মানবাধিকার কমিশনে। রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রিপোর্ট তলব করেছেন।

ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে, আবার কী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে?

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার পর ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে তা। উত্তাল থাকবে সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের সতর্কতা। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন

‘দিদি আছে, ভয় পাবেন না, দরকারে থালাবাটি বেচে…!’ এসআইআর ইস্যুতে বার্তা মমতার, অভিষেকের দিল্লি অভিযানের ঘোষণা

কলকাতায় সংবিধানের কপি হাতে তৃণমূলের মিছিল। এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে মমতার বার্তা—“দিদি আছে, ভয় পাবেন না।” অভিষেক জানালেন, দু’মাসের মধ্যে হবে দিল্লি অভিযান।

ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে, আবার কী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে?

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার পর ফের নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে তা। উত্তাল থাকবে সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের সতর্কতা। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

সাত বছর পর ঘরে ফেরা! তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়

দীর্ঘ সাত বছর পর আবার তৃণমূলে ফিরলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে সুব্রত বক্সী ও অরূপ বিশ্বাসের হাতে উত্তরীয় পরে আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।