কলকাতা: উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা! শুক্রবার রাত থেকে ত্রিমোহিনী বাজার-সহ সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধরা জারি করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন এক দল গ্রামবাসী। লাঠি হাতে থানার সামনে বসে পড়েন তাঁরা। বিক্ষুব্ধদের পাল্টা মারধরের অভিযোগও উঠেছে। তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সবই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার বাড়ি, বাগানবাড়ি এবং পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই শিবুর সমর্থকেরা পাল্টা মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে বাড়ছে চাপানউতোর। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে র্যাফও। শুক্রবারের সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই এবার কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। সন্দেশখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
শনিবার সকালে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের একাংশ। এ সবের মধ্যেই গতরাতে নবান্ন থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সন্দেশখালি কাণ্ডে দোষীরা কঠিন শাস্তি পাবে। এর পরপরই ডিজি এসসিআরবি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, আইজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এস আর ঝাঁঝারিয়া, ডিআইজি বারাসত সুমিত কুমার, এসপি বসিরহাট সহ বিভিন্ন জেলা থেকে সন্দেশখালিমুখী হতে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিকেরা। সঙ্গে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভর্মার দাবি, সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানান, এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। শুক্রবার দুপুরে কিছু ঘটনা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। গত তিনদিন ধরে যা ঘটছে কেন ঘটছে, কারা এর পিছনে আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শেষ তিন-চার দিন ধরে উত্তপ্ত সুন্দরবন লাগোয়া প্রত্যন্ত সন্দেশখালি। এলাকার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করার দাবিতে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়েরা। একের পর এক তৃণমূল নেতার সম্পত্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিধায়ক দাবি করেছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপি, সিপিএম। শুক্রবারের ঘটনায় নতুন করে আরও আট জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানির হিংসার ঘটনায় পরিস্থিতি কঠোর ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী ধামীর