উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: সুন্দরবনকে বাঁচাতে প্রয়োজন ম্যানগ্রোভকে রক্ষা করা। কারণ ম্যানগ্রোভ না থাকলে সুন্দরবন শেষ হয়ে যাবে। বাদাবন হারিয়ে যাবে!
পৃথিবীর সব থেকে বড়ো ম্যানগ্রোভ অরণ্য বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবনে। নিজে ধ্বংস হয়ে বারবার সুন্দরবনবাসীদের রক্ষা করেছে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য। আর তাই সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের গুরুত্ব বুঝে এ বারে এগিয়ে এল বন দফতর।
বুধবার বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবসে (World Mangrove Day 2023) প্রায় কয়েক হাজার ম্যানগ্রোভ গাছ বসানো হল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। আর এই ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর লক্ষ্যে অঙ্গীকার বদ্ধ হল বন দফতর।
বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন সুন্দরবনে ধুমধাম করে পালন করা হল বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের উদ্যোগে ও নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের সহায়তায় কুলতলির কৈখালিতে রামকৃষ্ণ আশ্রমে এই দিনটি পালন করা হয়।
এ দিনের অনুষ্ঠানের সূচনায় স্থানীয় স্কুলপড়ুয়া ও লোক শিল্পীদের নিয়ে একটি সচেতনতা মূলক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়। এ দিন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নদীর চরে কয়েক হাজার ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করেন।
এ ছাড়াও সুন্দরবনের ক্যানিং, গোসাবা, রায়দীঘি, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় মোট ১০ হাজার ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা হয়। আগামী বছর এক কোটি ম্যানগ্রোভের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএফও মিলন মণ্ডল, সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের যুগ্ম অধিকর্তা রাণা দত্ত, কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল, নিমপীঠ রামকৃষ্ণ সম্পাদক স্বামী সদানন্দজী মহারাজ, বন বিভাগের রায়দীঘি রেঞ্জার শুভায়ু সাহা-সহ আরও অনেকে। এই অনুষ্ঠান থেকে ম্যানগ্রোভ রক্ষার শপথ নেয় সুন্দরবনের মানুষ।
আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে তৈরি হচ্ছে মেছো ভেড়ি, কুলতলিতে কোদাল হাতে এগিয়ে এলেন বিধায়ক, পুলিশকর্তা