চলতি বছরের মার্চ মাসে ১৩১টি ওষুধকে নিম্নমানের বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ‘নট অব স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ বা এনএসকিউ তালিকাভুক্ত এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, সুগার, প্রেশার, ইনসুলিন, দামি অ্যান্টিবায়োটিক সহ একাধিক জরুরি ওষুধ। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল ৭১টি ওষুধকে এবং রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল ৬১টি ওষুধকে মানহীন বলে রিপোর্ট দিয়েছে।
বিশেষত, শিশুদের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত ক্লোরফেনিরামাইন ম্যালেট ও ফিনাইলেফ্রিন হাইড্রোক্লোরাইডের কম্বিনেশন সিরাপ ৪ বছরের নিচে শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। স্পষ্টভাবে গেজেট নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, উপযুক্ত সতর্কীকরণ ছাড়া এই ওষুধ তৈরি ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে, জাল ওষুধ নিয়েও রাজ্যে কড়া মনোভাব দেখাল প্রশাসন। শনিবার একাধিক দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে ড্রাগ কন্ট্রোলের নির্দেশিকা কঠোরভাবে মানতে হবে। বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ যাতে কোনওভাবে না পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও সতর্ক করেন, কোভিড পর্বে তৈরি হওয়া ২০ বেডের হাসপাতালগুলি যেন স্টোররুমে পরিণত না হয়ে পড়ে। ডেঙ্গু মোকাবিলাতেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে প্রশাসনকে।
সূত্রের খবর, হাওড়ার আমতায় জাল ওষুধ কাণ্ডে ফের নড়েচড়ে বসেছে ড্রাগ কন্ট্রোল। উলুবেড়িয়া আদালতে বিষয়টি তোলা হলে বেলেঘাটার চাউলপট্টি রোডের দু’টি দোকানের বিরুদ্ধে তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে। ইতিমধ্যেই দোকান দুটি বন্ধ করে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর না মিললে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে দপ্তর।
বর্তমানে মোট ১৩টি ওষুধকে কেন্দ্র করে তদন্ত চলছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই প্রেশারের ওষুধ। এছাড়াও রয়েছে প্রস্টেটের ওষুধ, অ্যালবুমিনসহ একাধিক ওষুধ। প্রস্টেটের একটি ওষুধের পরীক্ষায় তা জাল বলে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, নিষিদ্ধ ওষুধ এখনও কোথাও ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, তার উপরেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। জেলা শাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং ১২টি দফতরের সচিবদের নিয়ে বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে।