পাকিস্তান: ২৮২/৭ (৫০) বাবর ৭৪, আবদুল্লা ৭৫, ইফতিকার ৪০, নূর ৩/৪৯, নবীন ২/৫২
আফগানিস্তান: ২৮৬/২ (৪৯) ইব্রাহিম ৮৭, রহমত ৭৭*, গুরবাজ ৬৫ হাসান ১/৪৪, শাহিন ১/৫৮
ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পর আফগানিস্তানের কাছেও হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে কার্যত হারের হ্য়াট্রটিক করলেন বাবর আজমরা। অন্য দিকে, ইংল্যান্ডের পর এ বার পাকিস্তানকে হারিয়ে ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসে ভাসল আফগানিস্তান।
সোমবার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দলগত প্রয়াসেই ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন বাবরব আজম। এছাড়া ৫৮ রান করেন আবদুল্লাহ শফিক। শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করে ৪০ রান শাদাব খান ও ইফতিকর আহমেদ। মাঝে সাউদ শাকিল করেন ২৫ রান।
মাঝের দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট না পড়লে আরও বড় ্স্কোর করতে পারত পাকিস্তান। আফগানিস্তানের হয়ে এদিন ভাল বোলিং করেন নূর আহমেদ ও নবীন উল হক। ৩টি উইকেট শিকার করেন নূর ও ২টি উইকেট নেন নবীন। এছাড়া ১ টি করে উইকেট নেন মহম্মদ নবি ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাই। রাশিদ খান আঁটোসাঁটো বোলিং করলেও উইকেট পাননি।
রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে দুরন্ত শুরু করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। দুজন মিলে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেন। প্রয়োজন মত আক্রমণাত্মক শটও খেলেন দুজন। শতরানের পার্টনারশিপ করেন গুরবাজ ও জাদরান। নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। ১৩০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে প্রথম উইকেট। ৬৫ রান করে আউট হব গুরবাজ। এরপর রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরান স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন তারাও। ১৯০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে আফগানদের। ৮৭ রান করে আউট হন জাদরান।
২ উইকেট হারানোর পর ঠান্ডা মাথায় দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান রহমত শাহ ও হাসমাতুল্লাহ শাহিদি। কোনও রকম তাড়াহুড়ো করেননি তারা। নিজের অর্ধশতরান পূরণ ককেন রহমত শাহ। অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বেধে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয় এনে দেন রহমত শাহ। ১ ওভারে বাকি থাকতেই ২ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে আফগানরা। ৭৭ রানে রহমত শাহ ও ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন হাসমাতুল্লাহ শাহিদি।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন আফগানিস্তান ক্রিকেটাররা। প্রথম বার ওডিআইতে পাকিস্তানকে হারানোর আনন্দ। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এত বড় সম্মানের জয়। গর্বিত আফগান ক্রিকেটাররা ম্যাচ শেষে চিপকের মাঠ প্রদক্ষিণ করেন। সমর্থকদের ভালোবাসার কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রসঙ্গত, বাবররা এই ম্যাচে হেরে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ফেললেন। আপাতত পাকিস্তান ৫ ম্যাচ খেলে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। তাদের হাতে বাকি রয়েছে আরও চারটে ম্যাচ। সেমি ফাইনালে উঠতে গেলে পাকিস্তানকে বাকী প্রতিটা ম্যাচই জিততে হবে। তাহলে তাদের ঝুলিতে আরও ৮ পয়েন্ট আসবে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের মোট পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৩। এবং শেষ চারের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। সত্যি কথা বলতে কী, পাকিস্তান পরপর তিনটে ম্যাচ হারার পর শেষ চারটে ম্যাচে আদৌ প্রত্যেকটায় জয়লাভ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে দুরমুশ করার পরে পয়েন্ট টেবিলে কী দাঁড়াল ভারতের অবস্থান