মূলত মহম্মদ সিরাজের বোলিংয়ের সুবাদে রবিবার শ্রীলঙ্কা একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান করল। একদিনের ম্যাচে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩। ২০১২ সালে পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই রান করেছিল তারা।
শ্রীলঙ্কাকে এত কম রানে বেঁধে রাখার ক্ষেত্রে রবিবার মূল ভূমিকাটি পালন করলেন মহম্মদ সিরাজ। এ দিন ২১ রান দিয়ে ৬টি উইকেট দখল করলেন তিনি। আর এই করতে গিয়ে তিনি একটি আন্তর্জাতিক রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন, এত দিন যে রেকর্ড ছিল শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কার চামিন্ডা ব্যাসের। সেই রেকর্ড হল একদিনের ম্যাচে দ্রুততম ৫ উইকেট তোলার রেকর্ড। মাত্র ১৬ বলে এই কাজ হাসিল করেন সিরাজ।
আর ৬ উইকেট দখল করার পথে হায়দরাবাদের মহম্মদ সিরাজ আর-একটি রেকর্ড করেছেন। প্রথম ভারতীয় হিসাবে এক ওভারে চার উইকেট পাওয়ার রেকর্ড। এ দিন শ্রীলঙ্কা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে সিরাজ আউট করলেন পাথুম নিসঙ্ক, সাদিরা সমরবিক্রম, চরিত অসলঙ্কা এবং ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে। রবিবারের এই পারফরম্যান্স সিরাজকে এনে দিল এ দিনের খেলায় ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’-এর সম্মান।
সিরাজের জয়যাত্রা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিরাজের অভিষেক প্রথমে টি২০ ম্যাচে। ২০১৭ সালে ৪ নভেম্বর তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০ ওভারের ম্যাচে অভিষিক্ত হন। এর পর ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে আসেন সিরাজ। ২০১৮-এর সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁকে দলে রাখা হয়, কিন্তু তিনি খেলার সুযোগ পাননি।
তার তিন মাস পরেই ওই বছরের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে তিনি ভারতীয় দলে জায়গা পান। আর একদিনের ম্যাচে সিরাজের অভিষেক হয় ২০১৯-এর ১৫ জানুয়ারি অ্যাডিলেড ওভালে।
সিরাজ আবার ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পান অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০২০-এর অক্টোবরে এবং টেস্টে তাঁর অভিষেক হয় ওই বছরেরই ২৬ ডিসেম্বর। টেস্টে তাঁর প্রথম শিকার মার্নাস লাবুশানে। ২০২১-এর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ৫ উইকেট দখল করেন সিরাজ। এটি টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ৫ উইকেট শিকার।
২০২৩-এর জানুয়ারিতে ভারত-নিউজিল্যান্ড একদিনের ম্যাচের সিরিজে সিরাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রথম একদিনের ম্যাচে সিরাজ ৪ উইকেট নেওয়ায় ভারত ১২ রানে জয়লাভ করে। ২০২৩-এর ২১ জানুয়ারি আইসিসি প্রকাশিত একদিনের ম্যাচে বোলার র্যাঙ্কিংয়ে সিরাজ প্রথম স্থানে ছিলেন।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ: একা হাতেই শ্রীলঙ্কাকে বধ করলেন সিরাজ, একপেশে ফাইনাল জিতে কাপ জয় ভারতের