বাংলাদেশ: ২০৪ (৪৫.১ ওভার) (মহমুদুল্লাহ ৫৬, লিটন দাস ৪৫, শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩-২৩, মোহম্মদ ওয়াসিম ৩-৩১)
পাকিস্তান: ২০৫-৩ (৩২.৩ ওভার) (ফখর জামান ৮১, আব্দুল্লাহ শফিক ৬৮, মেহেদি হাসান মিরাজ ৩-৬০)
কলকাতা: জয়ে ফিরল পাকিস্তান। ৭টি ম্যাচের মধ্যে ৩টি জিতে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে অঙ্কের হিসাবে এখনও সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ খোলা রাখল তারা। মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স-এ অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা বাংলাদেশকে হারাল ৭ উইকেটে। আর ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টিতে জিতে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বাংলদেশ চলে গেল লিগ টেবিলের একেবারে নীচে।
এ দিন বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট নেয়। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ২৯ বল বাকি থাকতেই তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২০৪ রানে। মহমুদুল্লাহ, লিটন দাস এবং অধিনায়ক শাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই তেমন উল্লেখযোগ্য রান পাননি। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং মোহম্মদ ওয়াসিম ৩টি করে উইকেট দখল করেন। বাংলাদেশের শেষ তিন ব্যাটারকে সরাসরি বোল্ড করেন মোহম্মদ ওয়াসিম। পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারের ১৭.৩ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তুলে নেয় মাত্র ৩ উইকেট খুইয়ে। ৭ উইকেটে এই জয়ের ভিত গড়ে দেন দলের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ফখর জামান। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন ফখর জামান।
আফ্রিদি, ওয়াসিমের বোলিং-এ কাত বাংলাদেশ
প্রথম ব্যাটিং করার ফায়দা বাংলাদেশ তুলতে পারেনি। শুরুতেই বিপর্যয়। ২৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় তারা। একে একে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তানজিদ হাসান, নজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ওপেনার লিটন দাস এবং মহমুদুল্লাহ ৭৯ রান যোগ করেন। দলের ১০৩ রানের মাথায় লিটন দাস ৬৪ বলে ৪৫ রান করে ইফতিকার আহমদের বলে আঘা সলমনকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
মহমুদুল্লাহর সঙ্গী হন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। ৭০ বলে ৫৬ করে মহমুদুল্লাহ যখন বিদায় নেন তখন দলের রান ১৩০। শাহিন শাহ আফ্রিদি সরাসরি বোল্ড করেন মহমুদুল্লাহকে। তৌহিদ হৃদয় দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর শাকিব সঙ্গী হিসাবে পান মেহেদি হাসান মিরাজকে। সপ্তম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৪৫ রান। হরিস রাউফের বলে আঘা সলমনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শাকিব। তিনি করেন ৬৪ বলে ৪৩ রান।
দলের ১৮৫ রানে সপ্তম উইকেট পড়ার পর মাত্র ১৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশের বাকি ৩ উইকেট পড়ে যায়। মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমানকে সরাসরি বোল্ড করে ৩টি উইকেট তুলে নেন মোহম্মদ ওয়াসিম। তিনি ৩১ রান দেন। শাহিন শাহ আফ্রিদিও ৩ উইকেট দখল করেন মাত্র ২৩ রান দিয়ে।
৩২.৩ ওভারেই জয় পেল পাকিস্তান
নির্ধারিত ৫০ ওভারের ১৭.৩ ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তান জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ফখর জামানের। প্রথম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ১২৮ রান। বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে দু’ জনেই বেশ মারমুখী ছিলেন। ৬৯ বলে ৬৮ রান করে শফিক যখন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তখন দলের রান ১২৮। মেহেদি হাসান মিরাজ তাঁকে এলবিডব্লিউ করেন। এর পর নামেন অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি বেশি কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৯ রানে তিনিও মিরাজের শিকার হন।
এর পর ফখর জামানের সঙ্গী হন মোহম্মদ রিজওয়ান। দু’ জনে দলের রান নিয়ে যান ১৬৯-এ। ৭৪ বলে ৮১ রান করে জামানও উইকেট তুলে দেন সেই মিরাজের হাতে। মহমুদুল্লাহের হাতে ক্যাচ দিয়ে জামান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। বাকি কাজটা সেরে ফেলেন মোহম্মদ রিজওয়ান এবং ইফতিকার আহমেদ। দু’জনে নট আউট থাকেন যথাক্রমে ২৬ ও ১৭ রানে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারাল বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের ৩টি উইকেটই তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
আরও পড়ুন