দক্ষিণ আফ্রিকা: ১১৩-৬ (হাইনরিখ ক্লাসেন ৪৬, ডেভিড মিলার ২৯, তানজিম হাসান সাকিব ৩-১৮, তাসকিন আহমেদ ২-১৯)
বাংলাদেশ: ১০৯-৭ (তাওহিদ হৃদয় ৩৭, মাহমুদুল্লাহ ২০, কেশব মহারাজ ৩-২৭, আনরিখ নর্তজে ২-১৭)
খবর অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা তিনে তিন। ৩টি ম্যাচের সবকটি জিতে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ চলে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটে ১১৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ শেষ করল ৭ উইকেটে ১০৯ রানে। ৪ রানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর বাংলাদেশ ২টি ম্যাচের ১টিতে জিতে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে আপাতত থাকল দ্বিতীয় স্থানে। এ দিন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন হাইনরিখ ক্লাসেন।
নিউ ইয়র্কের পিচে দক্ষিণ আফ্রিকাও আটকে গেল স্বল্প রানে
সোমবার ভারতীয় সময় রাত ৮টায় (স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউ ইয়র্কের এই স্টেডিয়ামের পিচের আচরণ যা তাতে দেখা যাচ্ছে কোনো দলই তেমন বড়ো স্কোর করতে পারছে না। এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসেও তার ব্যত্যয় হল না। ২০ ওভারে মাত্র ১১৩ রান করল দক্ষিণ আফ্রিকা, ৬ উইকেটে হারিয়ে।
তুখোড় বল করলেন বাংলাদেশের তানজিম হাসান সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে তিনিই প্রথম আঘাত হানেন। তিনি তাঁর নিজের এবং দলের প্রথম ওভারের শেষ বলে তুলে নেন রিজা হেনড্রিক্সকে। খাতা খোলার আগেই সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এর পর সাকিব তুলে নেন আর-এক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে। দলের ১৯ রানের মাথায় ডি কককে বোল্ড করেন সাকিব। তবে ওই ১৯ রানের মধ্যে ১৮-ই এসেছিল ডি ককের ব্যাট থেকে। এর পর আরও ৪ রানের মধ্যে ২টি উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। এর মধ্যে ১টি যায় সাকিবের দখলে এবং আর-একটি যায় তাসকিন আহমেদের দখলে। তাসকিন বোল্ড করেন আইডেন মার্করামকে এবং ট্রিস্টান স্টুব্স সাকিবের বলে শাকিব আল হাসানকে ক্যাচ চেন।
এর পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে পতন রোধ করে হাইনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলারের জুটি। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ৭৯ রান। দলের ১০২ রানের মাথায় তাসকিনের বলে বোল্ড হন ক্লাসেন। তিনি ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন। আরও ১১ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস শেষ করে। এর মধ্যে তারা ডেভিড মিলারের উইকেট হারায়। ৩৮ বলে ২৯ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হন মিলার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে ইনিংস শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সোমবারেও রবিবারের পুনরাবৃত্তি
আপাতদৃষ্টিতে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেশ কম মনে হলেও, নিউ ইয়র্কের এই স্টেডিয়ামের পিচে সেই রান তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় প্রতিপক্ষ সেই রানে পৌঁছোতে পারছে না। যেমন হল রবিবার। ভারতের দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোতে ব্যর্থ হল পাকিস্তান। সোমবারও সেটাই হল।
রান তাড়া করতে শুরু করে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ৫০ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শাকিব আল হাসানকে তুলে নেন আনরিখ নর্তজে। বাংলাদেশের অন্যতম ওপেনার তানজিদ হাসান কাগিসো রাবাদার বলে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কককে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আর কেশব মহারাজের বলে ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন দাস।
৫০ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ। তাঁরা দলের স্কোর টেনে নিয়ে যান ৯৪-এ। ৩৪ বলে ৩৭ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ হন হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেটে ১৩ রান যোগ করার পরে আউট হন জাকের আলি, কেশব মহারাজের বলে মার্করামকে ক্যাচ দিয়ে। হাতে ছিল ৩ বল, দরকার ছিল ৭ রান। এর পর সেই কেশব মহারাজের বলেই আউট হলেন মাহমুদুল্লাহ। চেষ্টা করেছিলেন ৬ মেরে দলকে জেতানোর। কিন্তু একেবারে সীমানার ধারে ধরা পড়ে গেলেন মার্করামের হাতে। ১ বল ৬ রান। শেষ চেষ্টা করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু এল মাত্র ১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: ম্যাকমুলেন-মুনসের ব্যাটিং-ঝড়, ওমানকে উড়িয়ে দিল স্কটল্যান্ড