মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ১ (দিমিত্রি পেত্রাতোস) ওড়িশা এফসি: ০
কলকাতা: শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। মোহনবাগান সমর্থকদের অত্যন্ত প্রিয় খেলোয়াড় পেত্রাতোস গত মরশুমে দুর্দান্ত খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বার চোট পাওয়ার পর থেকে গোল পাচ্ছিলেন না। গত দু’মাস ধরে তাঁর পা থেকে কোনো গোল আসেনি। কিন্তু আসল দিনে আসল কাজটা সেরে ফেললেন তিনি। তাঁরই গোলে মোহনবাগান পর পর দু’বার আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতে নিল।

কোচ খোসে মোলিনাকে নিয়ে উল্লাস। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
সারা ম্যাচটা কিন্তু মোহনবাগানকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। লড়াইটা ভালোই দিয়েছিল ওড়িশা এফসি। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। মোহনবাগানকে লিগ-শিল্ড জয়ী হওয়া থেকে আটকাতে পারল না। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ের প্রায় শেষ মুহূর্তে পেত্রাতোসের গোলে আসল কাজটি সেরে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

অধিনায়ক শুভাশিস বোসই বা বাদ যায় কেন? ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে বাগান কোচ খোসে মোলিনা বলেন, “দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের গোল করতেই হত। তাই জেমির পাশে দিমিকেও রাখি। কারণ, জানি না কেন আমার মনে হয়েছিল দিমি আজ গোল করলেও করতে পারে। এই ম্যাচটা হয়তো ওরই হতে চলেছে। আমার মনে হয়, আমি ঠিকই ছিলাম।”
কোচ মোলিনা সত্যিই কিছু আন্দাজ করতে পেরেছিলেন? রবিবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচ ৭৮ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর পেত্রাতোসকে নামান মোলিনা।

জয় মোহনবাগানের জয়। রবিবার যুবভারতীর গ্যালারিতে। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
৯৪ মিনিটের মাথায় গোল করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে টানা দ্বিতীয় বার শিল্ড জয়ের স্বাদ এনে দিলেন পেত্রাতোস। বাঁ দিক থেকে আশিক কুরুনিয়ান যে সেন্টার করেন তা বক্সের ডান দিকে পান মনবীর সিং। মনবীর বক্সের সামনে বল পাঠান পেত্রাতোসের কাছে। পেত্রাতোস বক্সে কিছুটা ঢুকে এসে যে কোণাকুনি শট নেন, তা গতিপথ সামান্য পালটে বাঁ দিকের নীচের কোণ দিয়ে ওড়িশার গোলে ঢুকে যায়। উল্লাসে ফেটে পড়ে যুবভারতীর গ্যালারি।
চলতি লিগের ১৬তম জয়ের ফলে ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে অন্য সব দলেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল মোহনবাগান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়া (২১ ম্যাচে ৪২) তাদের বাকি তিনটি ম্যাচে জিতলেও সবুজ-মেরুন বাহিনীর নাগাল পাবে না।