ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এফসি গোয়া-কে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে প্রবেশ করল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফাইনালে মুখোমুখি হবে সবুজ-মেরুন।
ইতিমধ্যেই প্রথম সেমিফাইনালে নর্থইস্টকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। ফাইনালে আবার দেখা হবে কলকাতার দুই দলের। ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।
যুবভারতীতে টান টান উত্তেজনায় শুরু হয় গোয়া বনাম মোহনবাগান ম্যাচ। তবে প্রায়শই গোটা মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। বলের দখল থেকে আক্রমণ, সবেতেই এগিয়ে ছিল গোয়া। বলের পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। তবে একটা গোল হজম করার পর তেড়েফুড়ে আক্রমণে যায় হুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তুলে গোয়া ডিপ ডিফেন্সে আক্রমণের চাপ বাড়াতে থাকে মোহনবাগানের অ্যাটাকিং লাইন। ফলও মিলে যায় হাতেনাতে।
জয়ের পরে উল্লাস। ছবি: রাজীব বসু
এ দিন গোয়ার হয়ে একটি গোল করেন নোহা। ২৩ মিনিটে গোল করেন তিনি। ১ গোলে এগিয়ে যায় গোয়া। মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোল করেন জেসন কামিংস ও আর্মান্দো সাদিকু। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেসন কামিংস ফল দাঁড়ায় ১-১। এর পর ৬২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সাদিকু।
এক গোলে পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের চাপ বাড়াতে থাকে গোয়া। গোলের সুযোগও তৈরি হচ্ছিল। এগিয়ে যাওয়ায় কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে সবুজ-মেরুন। কারণ, গোয়ার পুরো দল উঠে আসছিল আক্রমণে। কিন্তু একের পর এক সুযোগ মিললেও সফল হয়নি কোনোটাতেই।
এই ম্যাচের ফলাফলই স্পষ্ট করে দিল, রবিবার ফের ডার্বি। আরও এক বার ইস্টবেঙ্গলের সামনে মোহনবাগান।
খবর অনলাইনে আরও খেলার খবর
১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি
মোহনবাগান-গোয়া ম্যাচের পরে কিছু মুহূর্ত: সঞ্জয় হাজরার ক্যামেরায়
নেপালকে হারিয়ে পাকিস্তানের ভাবনায় ভারত! কী বললেন বাবর আজম