রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে নিজের দলের শেষ ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল। জানা গিয়েছে, এ বছরের আইপিএল-এ তাঁকে আর দেখা যাবে না। এমনকী জুন থেকে লন্ডনের ওভাল মাঠে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি নিয়েও উৎকণ্ঠা বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকবহাল মহল।
এই চোট কতটা গুরুতর
গত সোমবার (১ মে) লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ওই ম্যাচে লখনউয়ের অধিনায়ক কেএল রাহুল ফিল্ডিং করতে গিয়ে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। বাউন্ডারির দিকে দৌড়ানোর সময় রাহুল তাঁর ডান উরুতে চোট পান। মার্কাস স্টয়নিসের বোলিংয়ে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের কভার ড্রাইভ আটকাতে গিয়েই চোট পান তিনি। আর সেকারণেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এই চোট কতটা গুরুতর, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচে লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুলের চোট পাওয়ায় সুপার জায়ান্টসের সমস্যা বেড়েছে। রাহুলের অনুপস্থিতিতে লখনউ-এর নেতৃত্ব দেবেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। রাহুলের চোট টিম ইন্ডিয়ার জন্যও দুশ্চিন্তার বিষয় কারণ ভারতকে আইপিএলের পর পরই ৭ জুন থেকে লন্ডনের ওভাল মাঠে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি খেলতে হবে। বিসিসিআই মেডিকেল টিম এখন রাহুলের চোটের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
এমনিতে অভিজ্ঞ পেসার জয়দেব উনাদকটের কাঁধের অবস্থা গুরুতর এবং তিনিও আইপিএল থেকে বাদ পড়েছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ৭ থেকে ১১ জুন লন্ডনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য সিনিয়র ব্যাটার-উইকেট রক্ষক রাহুলকে প্রস্তুত করা এখন বিসিসিআই স্পোর্টস সায়েন্স অ্যান্ড মেডিকেল টিমের কাছে বড়োসড়ো চ্যালেঞ্জ।
স্ক্যান করানো হবে মুম্বইয়ে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআই-এর একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছে, “কেএল রহুল এখন লখনউতে দলের সঙ্গেই রয়েছেন। তবে বুধবার সিএসকে-র বিরুদ্ধে খেলা দেখার পরে তিনি বৃহস্পতিবার ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। মুম্বইতে বিসিসিআই মনোনীত মেডিক্যাল কেন্দ্রে তাঁর স্ক্যান করা হবে। তাঁর পাশাপাশি জয়দেবের বিষয়টি নিয়েও তৎপর বিসিসিআই।”
সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে যে এখন পর্যন্ত কোনো স্ক্যান করা হয়নি। যখন কেউ এই ধরনের চোট পান, তখন সেখানে এবং এর আশেপাশে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যথা এবং ফোলাভাব থাকে। ফোলা নিরাময়ে প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগে এবং তার পরেই স্ক্যান করানো হয়।