সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৯৭/৬ (অভিষেক ৬৭, ক্লাসেন ৫৩*, আব্দুল ২৮, মার্শ ২৭/৪)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৮৮/৬ (মার্শ ৬৩, সল্ট ৫৯, অক্ষর ২৯*)
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৯ রানের জয়ে নিজেদের পর পর তিন ম্যাচে হারের ধারায় অবসান ঘটাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শনিবার আইপিএল-এর ৪০তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তোলে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান। জবাবে দিল্লি তোলে ৬ উইকেটে ১৮৮। এর আগে হায়দরাবাদে গিয়ে সানরাইজার্সকে হারিয়ে এসেছিল দিল্লি। এ বার দিল্লির ঘরের মাঠে জয় তুলে নিল সানরাইজার্স।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তৃতীয় ওভারে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে (৫) হারিয়ে ধাক্কা খায়। রাহুল ত্রিপাঠি (১০), এইডেন মার্করাম (৮), হ্যারি ব্রুক (০) দের ব্যর্থতা চাপে ফেলে দেয় হায়দরাবাদকে। ওপেনার অভিষেক শর্মা একা লড়াই চালিয়ে যান। ৩৬ বলে ৬৭ রান করে আউট হন অভিষেক। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান হেনরিক ক্লাসেন (২৭ বলে ৫৩) ও আব্দুল সামাদ (২১ বলে ২৮)। ১৬ রান করেন আকিল হোসেন।
দিল্লির হয়ে ২৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন মিচেল মার্শ। অক্ষর পটেল এবং ইশান্ত শর্মা একটি করে উইকেট নেন।
১৯৭ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই ওয়ার্নার আউট হয়ে যান। তিনি ফিরতেই দিল্লির জয়ের আশা ধাক্কা খায়। ফিল সল্ট (৫৯) এবং মিচেল মার্শ (৬৩) চেষ্টা করেছিলেন। মিডল অর্ডারে একের পর ব্যাটার এলেন এবং ফিরে গেলেন। মনীশ পাণ্ডে (১), প্রিয়ম গর্গ (১২), সরফরাজ খানরা (৯) কেউই দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারলেন না। অক্ষর ১৪ বলে ২৯ ও রিপল ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকলেও হার এড়াতে পারেননি। দিল্লি শেষ অবধি তোলে ৬ উইকেটে ১৮৮।
এই হারের মধ্যে দিয়েই প্লে-অফে ওঠার রাস্তা কঠিন হয়ে গেল ডেভিড ওয়ার্নারদের। আট ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান দশম স্থানে। বাকি ম্যাচগুলিতে জিতলেও তা যথেষ্ট কি না, সন্দেহ রয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে দিল্লিকে বাকি ৬ ম্যাচে জিততেই হবে। কিন্তু ১৬ পয়েন্ট প্লে-অফে ওঠার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত হবে কি না সেটাও দেখার। সে ক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকে।
অন্য দিকে, আট ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম থেকে অষ্টম স্থানে চলে এসেছে সানরাইজার্স। যেখানে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পয়েন্টও সমান। তিন দলের ঝুলিতেই ৬ পয়েন্ট করে থাকলেও ম্য়াচ সংখ্যা এবং নেট রেটের ব্যবধান দলগুলির অবস্থানের ফারাক গড়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭৯ রান তুলেও গুজরাতের কাছে ৭ উইকেটে হার কলকাতার